নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ স্বল্প সময়েই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে চমৎকার পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন।
১৯৭৪ সালের শরতে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক একাডেমি স্যান্ডহার্স্টে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে শেখ জামাল লন্ডনে গিয়ে পৌঁছান।
তবে স্যান্ডহার্স্টের পূর্বশর্ত হিসেবে তাঁকে ব্রিটেনের আর্মি স্কুল অব ল্যাংগুয়েজ এবং বেকনসফিল্ড থেকে প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। লন্ডনে যাওয়ার পর তিনি ‘সেলফ্রিজ’ নামের একটি দোকানে সেলসম্যানের চাকুরি নেন।
সেই উপার্জন দিয়ে তিনি নিজের হাত খরচ চালান এবং স্যান্ডহার্স্টে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ৩জানুয়ারি স্যান্ডহার্স্টের স্ট্যান্ডার্ড মিলিটারি কোর্স-৮ শুরু হয় এবং একই বছর ২৭জুন অংশগ্রহণকারীদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কমিশন লাভ করেন তিনজন গর্বিত তরুণ-অফিসার ক্যাডেট শেখ জামাল, আলাউদ্দিন মো. আবদুল ওয়াদুদ এবং মাসুদুল হাসান।
শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১আগস্ট থেকে স্যান্ডহার্স্টেই পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং তাঁর দুই প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন জেনে তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন।
তবে, দেশে কিছুদিন থেকে আবার পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে ফিরে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের পোস্টিং হলো ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে। এখানে তাঁর চাকরিকাল ছিল প্রায় দেড় মাস। এরই মধ্যে তিনি পরিবারের মতামতে সেনাবাহিনীর অনুমোদন নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৭জুলাই ফুফাতো বোন পারভীন রোজীকে বিয়ে করেন। তিনি সেনাবাহিনীর গাড়িতে চড়ে নিয়মানুবর্তীতার সঙ্গে অফিস করতেন। স্বল্প সময়েই তিনি অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে চমৎকার পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন।