কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১০ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে দুদকের ২টি মামলার অনুমোদন

Uncategorized অপরাধ

 !! প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি -প্রতারণার মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস- হর্টিকালচার সেন্টারের নামে মোট ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকার বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরপর বরাদ্দ করা বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোডসমূহের আওতায় ব্যয় দেখিয়ে বিল পাস করে আত্মসাৎ করেন তারা এবং দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকাসহ মোট ৫৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। কম্পিউটার সামগ্রী, সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ ক্রয় না করা সত্ত্বেও স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন তারা !!


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার (২৩ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন। দুই মামলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রথম মামলার আসামিরা হলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) মো. আবুল হাশিম, সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, সাবেক নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক কাজী নুরুল আবছার, কক্সবাজারের টেকনাফের উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং একই অফিসের ক্যাশিয়ার ফিরোজ খাঁন।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি -প্রতারণার মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস/ হর্টিকালচার সেন্টারের নামে মোট ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৮৫ টাকার বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরপর বরাদ্দ করা বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোডসমূহের আওতায় ব্যয় দেখিয়ে বিল পাস করে আত্মসাৎ করেন তারা। দুদকের অনুসন্ধানে কৃষি অফিস বা হর্টিকালচার সেন্টার হতে অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র ও অনুমোদন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় মামলায় সৈয়দ শরীফুল ইসলাম ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্টোর কিপার মো. অলিউল্লা প্রধান, সিনিয়র হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নাফিসা সরকার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আয়ন ও ব্যয়ন) মো. আবুল হাসেম এবং ক্যাশিয়ার (প্রশাসন ও অর্থ উইং) মো. জাহিদ হাসান। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকাসহ মোট ৫৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। কম্পিউটার সামগ্রী, সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ ক্রয় না করা সত্ত্বেও স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।