বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল-৩ (মূলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটে জালিয়াতির মাধ্যমে লঞ্চের সময়সূচির অনুমোদন নিয়ে ১৫টি ঘাট চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মূল ইজারাদারদের পাশ কাটিয়ে ছদ্মনামে এসব লঞ্চঘাটগুলো তার লোকজন চালিয়ে আসছে। এর ফলে বিআইডব্লিউটিএ বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটিতে লঞ্চঘাট ইজারাদার ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মনিরুজ্জামার মনির এ অভিযোগ করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি টিপু জানিয়েছেন মনিরকে লঞ্চ ভাড়া না দেয়ায় তিনি মনগড়া অভিযোগ করেছেন।
মনিরুজ্জামার মনির লিখিত বক্তব্য বলেন, ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীবাজার, ঢাকা-টরকি, সূর্যমনি, মাদারীপুর ও মুলাদীসহ ১৮টি লঞ্চের সময়সূচি অনুমোদন নিয়ে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মাহাবুবুল আলমসহ কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে এমপি টিপুর মালিকানাধীন মেসার্স ফারহান ও মেসার্স আগরপুর নেভিগেশন কোম্পানিকে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে সময়সূচির অনুমোদন দেন। একই সাথে ১৫টি লঞ্চঘাট নামে-বেনামে ইজারা নেন। এ কারণে পূর্বে লঞ্চঘাট ইজারা নেয়া মালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে মনির এমপি টিপুর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন বলেন, তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আবার জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। কিন্তু তিনি এখনো বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে রাজনীতি করেন এবং তাদের পুনর্বাসন করতে কাজ করছেন। এমনকি তিনি আওয়ামী লীগ নিধনে কাজ করেন।
এ ব্যাপারে এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আমি বিআইডব্লিউটিএ’র সব নিয়ম মেনে লঞ্চঘাটগুলো পরিচালনা করছি। সকল ঘাট পরিচালনার জন্য অনুমোদন রয়েছে। সরদার মনির আমার কাছে একটি লঞ্চ ভাড়া নিতে এসেছিলেন। না দেয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) আবু জাফর হাওলাদার জানান, এই বিষয়টি আমি ভালো জানি না। বিষয়টি জেনে আপনাকে অবহিত করতে পারবো।