নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষার ফল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চারটি ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা হলেও ৬১ জেলার ফল একত্রে প্রকাশ করা হবে। ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এ ফল প্রকাশের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ৮-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, দ্রুত ফল প্রকাশের সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও ফল তৈরির কাজ শেষ করতে দুই মাসের বেশি পার হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ১২ হাজার পদের বিপরীতে ২৪ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
ডিপিইর নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, লিখিত পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে নম্বর সিট তৈরি করা হচ্ছে। বুয়েটে ওএমআর সিট মূল্যায়ন কাজও শেষ হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতেই ফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসেবে প্রতি আসনে প্রায় ২০০ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অন্তত ৭ দফা পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে সমর্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৪ ধাপে। গত ২৪ মে প্রথম ধাপে ২৫ জেলায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষা মোটামুুটি শান্তিপূর্ণ। ৩১ মে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা।
দ্বিতীয় ধাপেও বিভিন্ন জেলায় প্রশ্ন ফাঁস, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার আগেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২১ জুন অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা। এরপর ২৮ জুন শেষ হয় চতুর্থ ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা। শেষ ধাপে দেশের ২৪ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।