চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি গত শুক্রবার (৩জুন) সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলযোগে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে উক্ত সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে।
মন্ত্রী বিকেল সোয়া ৫ টায় বিমানযোগে চট্টগ্রাম পৌঁছান। এরপর মন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত গাড়িতে চড়ে জামালখানস্থ প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ইপিজেড এলাকায় পৌঁছে বন্দরকেন্দ্রিক যানজটে আটকা পড়ে মন্ত্রীকে বহনকারী ও পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি।
এদিকে মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসায় সমাবেশে যোগ দেয়ার তাগিদে মন্ত্রী নিজের গাড়ি থেকে নেমে হেলমেট মাথায় দিয়েই মোটর সাইকেলে আরোহন করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সমাবেশে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নারী ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এ সময় তাঁকে ঘিরে নেতৃবৃন্দের মুহূর্মুহূ স্লোগানে সমাবেশে নতুন করে উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
দীর্ঘ পথ মোটসাইকেলে পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত সুধীজন মন্ত্রীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ হন।
মন্ত্রী নিজের ও প্রটোকলের গাড়িতে এলে কোনোভাবেই এ সমাবেশে যোগ দিতে পারতেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্ত্রীর মোটরসাইকেল আরোহনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে সাধারণ মানুষজন ব্যাপক প্রশংসা করে কমেন্ট করেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এমন মন্ত্রীই অমর হয়ে থাকবেন যারা সাধারণ মানুষের কাতারে নেমে আসতে পারেন।