নিজস্ব প্রতিবেদক : বেপরোয়া হয়ে উঠছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। গেল দুই বছরে বিভিন্ন অপরাধে রোহিঙ্গাদের নামে প্রায় ৫’শ মামলা হয়েছে। যার মধ্যে হত্যা মামলা ৫০টি। এছাড়া অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলাও রয়েছে। এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কক্সবাজারের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বাস। দুই বছর আগে যারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে। মিয়ানমারের এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হত্যা-মাদক পাচার ধর্ষনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা।
এছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের একদল সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাক্তার হামিদকে পাহাড়ে ডেকে নিয়ে গুলি করে করে হত্যা করে।
পুলিশের তথ্য বলছে, গত দুই বছরে নানা অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। এসব মামলায় আসামি হয়েছে ১০৮৮জন রোহিঙ্গা। এরমধ্যে হত্যা মামলা ৪৩টি, অস্ত্র মামলা ৩৬টি, মাদক মামলা ২০৮টি, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ৩১টি, ফরেনার্স অ্যাক্টে ৩৭টি, অপহরণ মামলা ১৫টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২১টি, পুলিশের ওপর হামলার ১টি, ডাকাতি ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ৯টি, মানবপাচার মামলা ২৪টি ও অন্যান্য অভিযোগে ৪৬টি মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, কেবল উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় কেন্দ্রেই নয়, পুরো কক্সবাজারে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারির দাবি স্থানীয়দের।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে, আশ্রয় কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বেড়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মাদক কারবারীরা তাদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে।
পুলিশ বলছে, রোহিঙ্গাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ৯টি পুলিশ ক্যাম্পের অধীনে নিয়োজিত রয়েছে এক হাজার ৯০ জন পুলিশ। এছাড়া র্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে।