এনজিওতে কেন আপত্তি, জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত কিছু এনজিও’র বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। এ সময় তিনি এনজিওদের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।


বিজ্ঞাপন

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, কিছু এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। এনজিওরা মোনাজাত করবে বলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক মহাসমাবেশ করেছে। এই সমাবেশে কিছু কিছু এনজিও’র সহায়তার বিষয়ে সরকার অবগত হয়েছে। অভিযোগগুলো সরকার খতিয়ে দেখছে।’


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছি। নানা ধরনের অভিযোগ আসে, কোনোটা সত্য আবার কোনোটা সত্য নাও হতে পারে। এই বিষয়টি মার্কিন অ্যাম্বাসেডরকে জানিয়েছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদারতাকে প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে ওই মুহূর্তে বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তা বিশ্বে বিরল। তাদের সুষ্ঠুভাবে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা তাতে একমত।

রোহিঙ্গাদের জন্য দেশে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১১ লাখ এই বাড়তি লোকের বোঝা আমরা আর সইতে পারছি না। তাদের কারণে আমাদের ভৌগোলিক, পর্যটন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সবকিছুতে সমস্যা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে দেখা করেছেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি ছিল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের রুটিন ওয়ার্ক। আমরা তাকে জানিয়েছি, সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে যথেষ্ট স্পেস দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের স্পেস দিতে বলেছেন, তাই আমরা দিচ্ছি। পলিটিক্স বা প্রশাসনিক যা-ই বলেন, কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

খালেদা জিয়াকে সরকার ইচ্ছা করেই জামিন দিচ্ছে না, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি লিগ্যাল ম্যাটার। তাছাড়া, বিএনপি নেতারা তো বলছেন—তারা আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। তারা তাহলে আন্দোলন করেই তাকে মুক্ত করুক, কে নিষেধ করেছে। তারা তো ৫০০ লোকেরও সমাবেশ করতে পারে না। খালেদা জিয়া দেড় বছর ধরে জেলে। দেড় বছরে দেড় মিনিটের আন্দোলনও তারা করতে পারেনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *