মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস এর অনিয়মের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন, অনিয়মকারী শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস। শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস চাঁদাবাজি মামলার আসামি নিলু’র প্রবচণায় পড়ে মিথ্যা শিকারুক্তি দিয়ে নিজের চাঁদাবাজি মামলা আড়াল করতে চেষ্টা করছে। শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস চাঁদাবাজি মামলার আসামি নিলু’র প্রবচণায় পড়ে যে অসত্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন,নাকি সত্য তথ্য দিয়েছেন এটা প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত দোশীর বিচার করবেন বলে বিশ্বাস করি। চাঁদাবাজির অভিযোগে সাংবাদিক নিলুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং মামলার বাদির বাড়িতে বিভিন্ন লোক নিয়ে যোঁর করে মামলা মিমাংশা করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়,চাঁদাবাজ নিলু এবং চাঁদাবাজ সাংবাদিক নিলু’র প্রবচণায় পড়ে দেবীপুর স্কুলের শিক্ষক যে মিথ্যা শিকারুক্তি দিয়েছেন,সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের নামে তার কোন চাঁদা দাবি করার প্রমান থাকলে আইনের আশ্রয় নিতেন। এদিকে,নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী থাকা সর্ত্বেও স্কুলে বছরের পর বছর ক্লাস করান না,বা স্কুলে যান না,শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস,এ অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে ঘুষ নিয়ে সংবাদ প্রচার না করতে তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এর কক্ষের মধ্যে উপস্থিত,ইউপি সচিব,ইউপি সদস্য,অভিযুক্ত শিক্ষক ঘুষ দিয়ে মিমাংশা করার চেষ্টা করে যার তথ্য প্রমান,সংগ্রহীত রয়েছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস নিজে স্কুলে শিক্ষকতা না করে,বাইরের একজন মহিলাকে কিছু টাকা বেতন দিয়ে অনিয়ম ভাবে স্কুলে শিক্ষকতা করাচ্ছেন,এবং তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়া সর্ত্বেও অনিয়ম ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছেন। নড়াইল সদর উপজেলা তুলারামপুর ইউনিয়নের দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস,স্কুলের শিক্ষক হলেও স্কুলে ক্লাস করান না,বছরের পর বছর এবং টিওনো সাহেবের কাজে ব্যস্ত থাকি বলে স্কুলে ক্লাস করতে পারি না বলেও এ প্রতিবেদককে জানান। জানা যায়,দেবীপুর গ্রামের মৃত,মনিবাবু বিশ্বাস এর ছেলে দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস অজানা অপশক্তির দারা স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস না করে এবং বছরের পর বছর স্কুল ফাঁকি দিয়ে,একই স্কুলে বহাল তবিয়াতে অনিয়মের মাধ্যমে আছেন। দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের দিয়ে প্রতিদিন স্কুল শেষে বিকালে হাজিরা খাতা নিজের বাড়িতে আনিয়ে প্রতিদিনের মত হাজিরা খাতায় সই করেন এবং সকালে শিক্ষিকাদের দিয়ে হাজিরা খাতা স্কুলে নিয়ে যান এ শিক্ষক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস তুলারামপুর বাজার এবং নড়াইল শহরে তার ব্যক্তিগত কাজ করেন কিন্তু সরকারি চাকরীরত শিক্ষক হয়েও শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস স্কুলে উপস্থিত হন না,দির্ঘ বছর।
এদিকে,শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস এর দেবীপুর খেয়া ঘাটে একটি মুদি-দোকান রয়েছে এবং তিনি নিজেই এ দোকাদারী করেন। সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলাম,গত (১৩ জুন) সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত স্কুলের সামনে অবস্থান করলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাসকে স্কুলে পাওয়া যায়নি। এভাবেই গত ১০ দিন যাবৎ তথা (২৩ জুন) দেবীপুর স্কুলে অবস্থান করলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাসকে স্কুলে দেখা যায় নি। সর্বশেষ (২৩ জুন) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদক স্কুলে অবস্থান করলেও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস কে পাওয়া যায়নি,পরে একই দিনে শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাসকে তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র মালামাল বিতরণ করতে দেখা যায়। এসময় মহিতষ বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে চেয়ারম্যান টিপু সুলতান এর অফিস কক্ষে সকলের সামনে হুমকী দিয়ে বলেন,আমাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মকসুদুল হক স্যার এখানে টিসিবির মালামাল বিতরণের জন্য এনেছেন এজন্য স্কুলে যেতে পারিনি,কিন্তু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মকসুদুল হক তাকে ডাকেন নি বলেও শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাসের সামনেই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করেন এ শিক্ষা অফিসার। স্কুল চলাকালে স্কুলের কমলমতি শিশুদের কাছে স্যার মহিতষ বিশ্বাসের স্কুলে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে কমলমতি বাচ্চা’রা বলে,স্যার স্কুলে আসে না,ম্যাডাম’রা শুধু স্কুলে এসে আমাদের ক্লাস করান। স্কুলের অন্য দুই শিক্ষিকাদের সাথে কথা হলে,শিক্ষিকা’রা জানান,আমাদের কোন কথা আপনি দয়া করে প্রকাশ করবেন না,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা আর কিছুই বলতে পারবো না,কিন্তু স্কুলের অফিস কক্ষে শিক্ষিকাদের সাথে গোপনে শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে যে সকল কথাবার্তা হয়েছে সেই সব কথাবার্তাই সত্য প্রমানিত হয় এবং সকল কথা বার্তার রেকোডিং সাংবাদিকদের কাছে সংগ্রহীত রয়েছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মকসুদুল হক জানান,আমি শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাসকে ডাকিনি,কোন ক্ষমতা বলে শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস বছরের পর বছর স্কুলে না যেয়ে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস না করিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা শিক্ষকতার নাম ভাঙ্গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান,শিক্ষক মহিতষ এর নামে এমন অনিয়ম এর অভিযোগ আগেও মৌখিক ভাবে পেয়েছি এবং আমি নিজে অভিযোগ পেয়ে স্কুলে অডিট করতে গিয়েও তাকে পাইনি এবং শিক্ষক মহিতষকে অর্নিং দিয়ে সাবধান করে দিলেও শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস কোন ভাবেই সংসধন হয়নি। এবিষয়ে আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করবো বলেও জানান। স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন,কিসের শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস,যে কি না,স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস না করিয়ে নিজের কাজ করতে ব্যস্ত থাকেন,এমন শিক্ষকদা’রা ছাত্র-ছাত্রী’রা কি শিক্ষা পেতে পারে। এমন সরকারি বেতনধারী দূর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপশারন চাই এবং সেই সাথে শিক্ষকতা না করে সরকারি বেতন উত্তলনের দায়ে কঠিন বিচার দাবি করেন বলেও জানন।
এ বিষয়ে তুলারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান,আমি দেবীপুর স্কুলের শিক্ষক মহিতষ বিশ্বাস কে ১৫ বছরের মধ্যে স্কুলে কোন দিন স্কুলের ক্লাস করতে দেখিনি,আমার ইউনিয়নের স্কুলে একজন ভালো শিক্ষকের দাবি জানায় উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এবং অনিয়মকারী শিক্ষকের বিচারের দাবি করি বলেও জানান।
