নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফে ডাকাতি মামলার আসামি তিন রোহিঙ্গা গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর ঢালায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য। নিহতরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৭৯ এর ফজল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জামিল (২০), একই ক্যাম্পের নবী হোসেনের ছেলে আসমত উল্লাহ (২১) এবং টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নতুনপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২৪)। পুলিশ বলছে, ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। টেকনাফ থানায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি ছিলেন তারা। ওসি প্রদীপ বলেন, গত বুধবার রাতে টেকনাফের শামলাপুর এলাকা থেকে জামিল, আসমত ও রফিককে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা শামলাপুর ঢালার জঙ্গলে অস্ত্র ও লুট করা মালামাল রাখার তথ্য দেয়। সেসব উদ্ধারে ভোরের দিকে তাদের নিয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোমাত্র ওই তিনজনকে ছিনিয়ে নিতে তাদের সহযোগীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থলে জামিল, আসমত ও রফিককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।পরে কক্সবাজারে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, টেকনাফ থানার এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাকিবুল ও দেলোয়ার হোসেন এ অভিযানে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বন্দুক ও ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।