সামরিক বিশ্লেষক ঃ ৪৯ টন ভরের এই ট্যাংকটি সড়ক পথে ৬২.৩ কিলোমিটার বেগে এবং কাঁচা রাস্তায় ৪৫ কিলোমিটার ঘন্টা বেগে চলতে পারে।এছাড়া পানিপথে ৫ মিটার গভীরতায় ৬০০ মিটার পাড়ি দিতে সক্ষম।এর তেলধারণ ক্ষমতা ১৯৯৩ লিটার। রাত্রিকালে চলাচলের জন্য এতে থার্মাল ইমেজিং ব্যবস্থা রয়েছে।এটি একটি ৬টিডি-২ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। যুদ্ধাবস্থায় কার্যকর পাল্লা ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার।
গঠনের দিক থেকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। ১/হাল;২/টারেট;৩/সাসপেনশন। ট্যাংকের সবচেয়ে পুরু অংশ ।সবচেয়ে দুর্বল অংশ হলো ফুয়েল ট্যাংক। কার্যক্রম পরিচালনা র জন্য একে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। ১/ড্রাইভিং কম্পার্টমেন্ট;২/ইঞ্জিন কম্পার্টমেন্ট ;৩/ফাইটিং কম্পার্টমেন্ট।এই ট্যাংকটি পরিচালনা করতে ১ জন কমান্ডার, ১ জন গানার, ১ জন ড্রাইভার থাকেন।
সুরক্ষার জন্য এর টারেটের সামনের অংশে ৬০০ মিলিমিটার ঘনত্বের অতিরিক্ত আর্মর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে।এছাড়া গ্লাসিস প্লেটে ৪৫০ মিলিমিটার ঘনত্বের আর্মর প্লেট স্থাপন করা হয়েছে।এটি শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে ৬ টি টাইপ-৮৪ স্মোক গ্রেনেড ব্যবহার করে।এছাড়া ধেয়ে আসা ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হতে রক্ষা পাওয়ার জন্যে এটি জ্যামার ব্যাবহার করে।নিউক্লিয়ার, বায়োলোজিকাল, ক্যামিকাল হামলার সময় ট্যাংকটি তে অবস্থান করা ক্রুরা সুরক্ষিত থাকতে পারেন।এই ট্যাংকটিতে IR camouflage ব্যবহার করা হয়।যাতে থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে দেখার সময় এটিকে অদৃশ্য দেখা যায়।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় এতে ভি আর সি – ২০০০ এল রেডিও, এক্স ডি যেড -১ রেডিও ব্যবস্থা আছে।যার দ্বারা ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যোগাযোগ করা যায়।
অস্ত্রব্যবস্থায়ও এতে তিনটি অংশে বিভক্ত।
১/ ১২৫ মিলিমিটার স্মোথ বোর গানঃ এগানটি দ্বারা ৩০০০ মিটার দুরত্ব গোলা বর্ষন করা যায়।এটি মিনিটে ৬ টি গোলা বর্ষনে সক্ষম ।ট্যাংক টি ৪৯ রাউন্ড গোলা বহন করে।
২/ ১২.৭ মিলিমিটার বিমানবিধ্বংসী মেশিন গানঃ এটি দ্বারা ১৬০০ মিটার দুরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনা যায়।প্রায় ৭৫০ টি বুলেট বহন করে।
৩/৭.৬২ মিলিমিটার মেশিন গানঃ এটি ৩০০০ টি বুলেট বহন করে, এবং একইসাথে ১ কিলোমিটার দুরত্ব পর্যন্ত আক্রমণ চালাতে পারে।
বাংলাদেশ আর্মির কাছে ৪৪ টি MBT-2000 ট্যাংক আছে।যেগুলো ২০১১ সালে ১২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে চীন হতে কেনা হয়।বর্তমানে এগুলা বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের বেঙ্গল ক্যাভালরিতে আছে।
