যেনে নিন ক্যাস্টর আয়েল বা ভেন্নার তেলের গুনাগুন

Uncategorized অন্যান্য


আজকের দেশ ডেস্ক : ক্যাস্টর অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বক ও চুলে খুব ভালো কাজ করে।

এই তেলে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ও প্রদাহরোধী উপাদান মাথার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এর ঘনত্ব বেশি।

চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে :
নিয়মিত তেল মালিশ করলে চুলের বৃদ্ধি হয়, দ্রুত বাড়ে। পাশাপাশি শক্তিশালীও হয়। মাথার ত্বকে গরম তেল মালিশ করার উপকারিতা অনস্বীকার্য। বলা যায় লম্বা চুলের এটাই মূলমন্ত্র।

তাছাড়া গরম তেল মালিশ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। নারিকেল, জলপাই, কাঠ বাদাম, আর্গন বা মরোক্কান তেলের সঙ্গে কয়েকফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। খুশকির সমস্যা থাকলে এতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মেশাতে পারেন।

আঙ্গুলের সাহায্যে মাথার ত্বক পাঁচ থেকে ১০ মিনিট মালিশ করে নিন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি মানে হল পুষ্টি সরবাহ হবে ঠিক মতো। ক্যাস্টর অয়েল ফাঙ্গাস রোধী উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় তা মাথার ত্বকের সমস্যা ও লালচেভাব কমাতে সহায়তা করে।

মাথার ত্বকের সংক্রমণ নিরাময় করতে : মাথার ত্বকের সংক্রমণের কারণে দেখা দেয় চুল পড়া, খুশকি ও চুলকানির সমস্যা। এতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ও প্রদাহরোধী উপাদান মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করে। এটা ফাঙ্গাসের বিস্তার কমায় ফলে মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সংক্রমণমুক্ত থাকে।

নারিকেল তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল মেশান। চাইলে এতে জলপাইয়ের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল ভালো থাকবে। সপ্তাহে দুবার যে কোন বাহক তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে চুল ও মাথার ত্বকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

জটালোভাব দূর করে : ক্যাস্টর অয়েল চুলের রুক্ষতা ও আগা ফাটার সমস্যা দূর করে। এটা চুলের জটালোভাব কমায় ও চুল মসৃণ করতে সাহায্য করে।

মাথার ত্বকে এই তেল প্রবেশ করে চুলের গোড়া উজ্জ্বীবিত করে চুলে মসৃণভাব আনে। এই তেলে আছে অলেইক ও লিনোলেইক অ্যাসিড যা দুষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে হওয়া চুলের ক্ষতি রোধ করতে সহায়তা করে। তাচ্ছাড়া এই তেল ব্যবহারে চুলের আগাফাটার সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *