সিলেটে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাড়াশি অভিযান : অধিদপ্তর কর্তৃক সাময়িক বাতিল করা যৌন উত্তেজক ক্যাপসুল পাওয়ার-৩০ এখনো বাজারে , ৩০ বক্স নমুনা জব্দসহ ২ টি ফার্মেসিকে জরিমানা

অপরাধ আইন ও আদালত সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মঙ্গলবার ২৭ মার্চ সুনামগঞ্জ জেলা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর বাজার মেসার্স ইনজামাম ফার্মেসী প্রোপাইটার শিব্বির আহমেদ প্রতিষ্ঠানটিতে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানির সার্জেল নকল বিক্রয় হচ্ছে এই মর্মে তথ্য পাওয়া যায় পরে সিলেট জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান ও ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী হাসান, অফিস সহকারী আবু তাহের, হেলথকেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রধান কাইয়ুমসহ উল্লেখিত দোকানটি পরিদর্শন করে।


বিজ্ঞাপন

পরিদর্শন কালে ক্যাপসুল সারজেল নকল পাওয়া যায় নাই তবে আন রেজিস্টার্ড ঔষধ সহ কিছু ঔষধ ফিজিশিয়ান সাম্পল পাওয়া যায়।
একারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরিমানা করে। দোকান দুটি সিল গালা করা হয় এবং নকল ভেজাল ঔষধ সম্পর্কে সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।


বিজ্ঞাপন

এছাড়াও গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সি বাজারে মেসার্স কনিকা ফার্মেসিতে হেলথকেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির তৈরি কৃত ক্যাপসুল সার্জেল নকল বিক্রয় হচ্ছে এই মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।

পরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যলয় ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নকল ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে ক্যাপসুল সার্জেল এর নকল ওষুধ পাওয়া যায়নি। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হতে সাময়িক বাতিলকৃত রাজশাহীর মেসার্স এস বি ল্যাবরেটরিজ ( আয়ু) নামক কোম্পানির তৈরিকৃত যৌন উত্তেজক ক্যাপসুল পাওয়ার -৩০ পাওয়া যায়।

উক্ত পাওয়ার-৩০ নামক যৌন উত্তেজক ক্যাপসুলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরিক্ষায় সিলডেনাফিল সাইট্রেট শনাক্ত হওয়ার কারণে পাওয়ার-৩০ নামক ক্যাপসুলটির উৎপাদন ও বাজারজাত সাময়িক বাতিল করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এছাড়াও ওই কোম্পানির উৎপাদিত ডাইকোফেক্স নামক ১০০ মিলি কফ সিরাপে ক্ষতিকর কেমিক্যাল শনাক্ত হওয়ায় ডাইকোফেক্স এর উৎপাদ ও বাজারজাত সাময়িক বাতিল করা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে মেসার্স এসবি ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) পূর্বের উৎপাদন তারিখ ব্যাবহার করে সাময়িক বাতিল করা ঔষধ সামগ্রীর উতপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও ইতোপূর্বে মেসার্স এস বি ল্যাবরেটরীজ (আয়ু) এর উৎপাদিত ৪ প্রকার যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলে সিলডেনাফিল সাইট্রট শনাক্ত হয়।

ওই সময় এস বি ল্যাবরেটরীজ কর্তৃপক্ষ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আইওয়াশ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিতর্কিত ঔষধ গুলি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার নাটক করলেও বিতর্কিত ঔষধ গুলি বাজারজাত অব্যাহত রাখে।

উক্ত ঔষধের ফার্মেসিতে মেয়াদও উত্তীর্ণ ঔষধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল সংরক্ষণের দায়ে ড্রাগ ১৯৪০ এর ১৮ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী শাস্তি প্রদান হয়। এসময়ে আদালত ওই ঔষধের ফার্মেসিকে ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
ঔষধের বাজার মনিটরিং ও অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান এবং ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মেহদী হাছান আজকের দেশ ডটকম কে জানান,জাতীয় ও জনস্বার্থে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক কঠোর নির্দেশনা আছে যে,ঔষধের নকল ভেজাল ও অন-অনুমোদিত ঔষধের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক এর জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ঔষধের নকল ভেজাল ও অন-অনুমোদিত এবং নিম্নমানের ঔষধের সাথে কোন প্রকার আপোষ করা হবে না। দেশের জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে মহাপরিচালকের নির্দেশে এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *