ঈদের আগে ও পরে সাতদিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবেঃ ঈদ ব্যবস্থাপনা সভার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ এবছর ঈদ উল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। ঈদে যাত্রি ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের পূর্বে ৩ (তিন) দিন ও ঈদের পরে ৩ (তিন) দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতের বেলায় স্পীডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঈদের আগে ৫(পাঁচ) দিন এবং ঈদের পরের ৫ (পাঁচ) দিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক (দিন এবং রাত) সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে স্টীমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয় যে, পদ্মাসেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি রুটে মোটর সাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে; কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার শংকা থাকে।
সে সময়ে সকলকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও নৌপুলিশ আরো সতর্কতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী উঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে।
নদী বন্দরগুলোতে যাত্রিসেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রি পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহন অধিদফতর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘেœ যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈউল ফিতরেকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘেœ নৌসেবাটা নিতে পারে সেবিষয়ে আমরা আন্তরিক।
পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘেœ নৌ সেবা নিতে পারে সেলক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের
সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রি পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পুলিশ, নৌপুলিশ, আবহাওয়া বিভাগ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, সংশ্লিষ্ট সড়ক ও নৌপরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও জুমে উপস্থিত ছিলেন।