নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার,১৩ এপ্রিল,
সার্বজনীন বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ সমাগত। বাংলা নতুন বছরে দেশবাসীর প্রতি আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। পহেলা বৈশাখ মানেই হচ্ছে, পুরনো, জরাজীর্ণ এবং অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলা। ব্যার্থতার সকল গ্লানী মুছে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে বিজয় রথে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা যোগায় পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালীর মহা ঐক্যের দিন। পহেলা বৈশাখ আমাদের ধর্ম, বর্ণ, জাত বা গোত্রের সীমারেখা ভেঙে এক সাথে একই পথে চলতে সাহস জোগায়। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সুন্দরের জয়গানে পহেলা বৈশাখ সংহতি অনুষঙ্গ।
মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে কর বা রাজস্ব আদায়ের জন্য বাংলা সন গণনা শুরু হয়। কিন্তু, এখন পহেলা বৈশাখ বাঙালীর সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের অসাধারণ অধ্যায়। আমাদের প্রিয় নেতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পহেলা বৈশাখকে বাঙালীর প্রাণের উৎসবে পরিণত করতে দিনটিকে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ মানেই রঙিন উৎসবে বাঙালীর প্রাণের সঞ্চার। এই মহালগ্নে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।