দেশের মানুষ যে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করছে তা সবসময়ই বিএনপির গাত্রদাহে পরিনত হচ্ছে —– ওবায়দুল কাদের

Uncategorized অন্যান্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। শহর থেকে মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করছে তা মির্জা ফখরুল বা বিএনপির পছন্দ নয়। মানুষ যে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করছে তা সবসময়ই বিএনপির গাত্রদাহ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নেতিবাচক বক্তব্য তাদের সেই চিরাচরিত গাত্রদাহের প্রতিফলন।

গতকাল শনিবার ২২ এপ্রিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে’- এমন বক্তব্যের জবাবে আজ রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের শাসনামলের দুর্ভিক্ষের দুঃস্বপ্ন জাতিকে দেখানোর অপচেষ্টা করছেন। আজ খাদ্যের অভাবে দেশের কোথাও কোনো প্রাণহানি ঘটেছে? ঘটেনি। দুর্ভিক্ষে মৃত্যুবরণ করেছে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকা বা নাম কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে আছে? নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের চিরায়ত ভঙ্গিতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বয়ানের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে; নৈরাজ্য সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কখনোই মিথ্যা তথ্য দেয়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা এসব তথ্য আমলে না নিয়ে তারা প্রতিদিন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ চলছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের রাজনীতিতে গণবিচ্ছিন্নতার দুর্ভিক্ষ রয়েছে বলেই তারা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অক্ষম। বিএনপির রাজনীতি বদ্ধ জলাশয়ের মতো; তারা নিজেদের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি রাজনীতির নতুন কোনো ধারা সৃষ্টি করতে পারেনি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে মন্দা লেগেই থাকত। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের মন্দা আজ নির্বাসিত। দেশে অতি দ্রারিদ্র্যের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বিএনপির আমলে দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশ আজ জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশ্ব সভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেই আমাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক নেতৃত্বের কারণে ও সুদক্ষ পরিচালনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবেই ইনশাল্লাহ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *