নিজস্ব প্রতিবেদক : যুবলীগের গুটিকয়েক নেতার রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নের কারণে সংগঠনটির ওপর অপবাদ এসেছে বলে দাবি করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশকালে তিনি এমন দাবি করেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, গুটিকয়েক লোকের অতিলোভের কারণে তাদের আচার-আচরণের কারণে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার দুঃস্বপ্নের কারণে আজ আমাদের নামে অপবাদ আসছে।
তিনি বলেন, আমাদের যারা সাধারণ কর্মী তারা খুবই ভালো মানুষ, তাদের কোনো লোভ-লালসা নেই। আমার সংগঠনের তৃণমূলের কর্মীদের কোনো লোভ-লালসা নেই। তারা নেত্রীর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেন। আপনার নির্দেশ পালনের জন্য যুবলীগ নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে প্রস্তুত। নূর হোসেন জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করে গেছেন। আমাদের সেই কর্মীরা শুধু একটু ভালোবাসা চায়। একটু সম্মান চায়। এর বেশি তৃণমূলের কোনো দাবি নেই।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লোভ-লালসা ভর করেছে আামাদের মতো কিছু লোকের ওপর। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি, আমরা পুলিশের পিটুনি খাই, আমরা জেলখানায় যাই, আমরা পুলিশের পিটুনি খাই জেলে নির্যাতিত হই।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু এবং আপনার কাছ থেকে যা শিখেছি মনে করি আজকের এই কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে নতুন যে নেতৃত্বে আসবে সেই নেতৃত্ব আমাদের রাজনীতি পথচলা এগিয়ে নেবে। লড়াই-সংগ্রামে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে স্বপ্ন দেখছে ২১০০ সাল পর্যন্ত আপনি যে স্বপ্ন দেখেছেন যে বাংলাদেশ উদ্বুদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের যুবসমাজ উদ্বেলিত হয়েছে; সে স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব এমন একটি অবকাঠামো গড়ে তুলবেন। এ সংগঠনের যে কালিমা রয়েছে তা দূর করবেন আমি মনে করি আমাদের বিদায়ের মাধ্যমে সে কালিমা দূর হবে। নতুন নেতৃত্বের জন্য একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে সে দিগন্ত হবে আলোর দিগন্ত।
আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনাপর্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রমুখ।
বেলা ১১টার দিকে যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসস্থলে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান সম্মেলনের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনা যুবলীগ’ স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। পরে পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী যুবলীগের সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে শেষে বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।