নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক বিমানবন্দর ও বনানী কেন্দ্রিক অবৈধ বিদেশী মদ চোরাচালানকারীর একজন সদস্যকে ৫৬ বোতল অবৈধ বিদেশী মদসহ গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে গুলশান সার্কেল এর একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ মে, সন্ধায় অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তি এন্ড টি কলোনীর (এরশাদ মাঠ) কবরস্থান রোডস্থ মিম ফ্যাশন গ্যালারী নামীয় দোকানের ভিতর থেকে অবৈধ বিদেশী মদ সহ একজন মাদক চোরাচালানকারী কে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বিদেশী মদ সরবরাহ করে আসছিল বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। আসামী বিভিন্ন কৌশলে তার ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং কারা হচ্ছিল। সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে, বর্ণিত মাদক ব্যবসায়ী বিমানবন্দর কেন্দ্রিক একটি চক্র হতে অবৈধ বিদেশী মদ সংগ্রহ করে গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করবে।
উক্ত তথ্যানুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গুলশান সার্কেল কর্তৃক গঠিত টিম তার গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন শেষে গতকাল ২৫ মে, সন্ধায় ৭ টা ৪৫ মিনিটের সময় বনানী থানাধীন কড়াইল বস্তি , টিএন্ডটি কলোনীর (এরশাদ মাঠ) কবরস্থান রোডস্থ মিম ফ্যাশন গ্যালারী নামীয় দোকানের ভিতর হতে মোঃ মনির হোসেন (৩৮) কে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সনাক্ত করা হয়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ পূর্বক তার মালিকানাধীন মিম ফ্যাশন গ্যালারী নামীয় দোকান তল্লাসী করে চিভাস -১২ হুইস্কি- ২৮ বোতল, প্রতি বোতল ১ লিঃ করে।ট্রাভেলাস ক্লাব হুইস্কি -৮ বোতল, প্রতি বোতল ১ লিঃ করে।ব্লাক লেবেল হুইস্কি – ১৯ বোতল, প্রতি বোতল ১ লিঃ করে। ভ্যাট-৬৯ লেবেল হুইস্কি -১ বোতল, প্রতি বোতল ১ লিঃ করে।সবমোট-৫৬ বোতল,এর পরিমান-৫৬ লিটার। অবৈধ বিদেশি মদ, এবং মাদক বিক্রিত কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখিত অভিযানের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্ল্যাহ কাজলজানান, ক্রিস্টালমেথ/আইস, ইয়াবা, এল.এসডি, ডিওবি সহ অন্যান্য ক্ষতিকর মাদকের পাশাপাশি অবৈধ বিদেশী মদ চোরা চালানের সাথে যারা জড়িত তাদের উপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।