নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জনবান্ধব বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দারিদ্রসীমার নিচে চলে আসা সাড়ে ৪ কোটি মানুষের পাশপাশি সর্বস্তরের সাধারণ জনতার কথা ভেবে কৃষি-শিক্ষা-গ্যাস-বিদ্যু ও জ¦ালানি তেলে ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি।
চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী. ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব ফরহাদ ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির জামান প্রমুখ ১ জুন প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলেন- পৃথিবীতে মনে হয় এই একমাত্র অর্থমন্ত্রী, যারা ইচ্ছেই থাকে কৃষি-শিক্ষা-খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থনসহ মৌলিক সুবিধা থেকে জনতাকে বঞ্চিত করে কেবলমাত্র ধনিক শ্রেণির পক্ষে বাজেট করা।
মোমিন মেহেদী অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে আরো বলেন, বিশ^ব্যাপী সকল দেশের অর্থমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি ও পরবর্তি সময়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দিতে বাজেট করেছে, আর আমাদের অর্থমন্ত্রী তাঁর আর কন্যার মত যারা জুয়ার আসর বসাতে পারে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশের বাইরে আয়েশি জীবন সাজাতে পারে,
তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বাজেট তৈরি করেন। তিনি জানেন না যে, কলমের দাম বাড়লে কোন কোন পরিবার সন্তানকে কলম কিনে দিতে ব্যর্থ হয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোই বন্ধ করে দেবে। কৃষক যদি কম দামে সার বা বীজ না পায় সে সেই জমিতে কৃষি কাজ না করে ঘর বানিয়ে ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা করবে। বিনিময়ে আমাদের কৃষিপণ্যের উপর চাপ বাড়বে।
তখন হয়তো অর্থ-বাণিজ্য-শিল্প ও খাদ্যমন্ত্রীদের কৃষিপণ্য আমদানিতে সুবিধাই হবে। বিবৃতিতে নতুনধারার নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এসি রুমের বাজেট না করে কিষাণীর উঠোনের বাজেট করুন, তাতে করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ-ভাত- ভোটাধিকার আর শিক্ষা-সংস্কৃতিচর্চাও মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। ঋণনির্ভর উদ্ভট বাজেট ঘোষণা করে জাতির পিতার আত্মার অশান্তির কারণ হবেন না দয়া করে।