মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ মাংস খাওয়ার উদ্দ্যেশে রাষ্টিয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গত ৪/৫ মাস যাবত সকাল বিকাল ও সন্ধা রাতে এয়ারগান দিয়ে পাখি মেরে সাবাড় করছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের পাখি শিকারি সুমন। যাহা দেখার কেউ নেই। এবিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
জানা গেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমান মাষ্টারের ছেলে পাখি শিকারি সুমন গত ৪/৫ মাস যাবত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়ারগান দিয়ে সকাল বিকাল ও সন্ধা রাতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখি শিকার করে আসছে। এতে এলাকাবাসী তাকে নিষেধ করলে তিনি উল্টো তাদের হুমকী দেন বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
পাখি শিকারি সুমন নিজ গ্রামে মৃত ফকিরচাঁদ, মৃত উরফান, মৃত আতেহার মন্ডলের বাঁশঝাড় থেকে তার হাতের ইয়ারগান দিয়ে বেশ কয়েকটি মা বগকে গুলি করে মেরে ফেলাই বাসায় থাকা ঐ পাখির বাচ্চা গুলো তাহাদের মায়ের মুখের খাবার না পেয়ে অনাহারেই মৃত বরণ করেছে। বিষয়টি নিযে এলাকার মানুষের মুখে মুখে ব্যাপক তোল পাড় সহ আলোচনার ঝড় চলছে।
জানা গেছে উপজেলার ফতেপুর ইউপির কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে মৃত ফকিরচাঁদ মন্ডলের বাড়ির পাশে একটি বাঁশ ঝাড়ে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর যাবত প্রায় শতাধিক বগ পাখি বাসা বেঁধে রয়েছে। এবং ওখানে ঘোপে ঘোপে ২৫/৩০ বড় বড় বাসা ও বাচ্চাও রয়েছে। গত ৪ জুন সকালে ঐ বাঁশঝাড়ে বসে থাকা পাখি শিকার করতে আসে সুমন।
এসময় প্রতিবেশিরা তাকে বার বার নিষেধ করে। কিন্তু পাখি শিকারি সুমন কারো কোন নিষেধ তোয়াক্কা না করে ইয়ারগান দিয়ে কয়েকটি বগ পাখি মেরে ফেলে। এসময় বাড়ির মালিক ছুটে আসলে সে ওখান থেকে দ্রত পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিযে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন সহ বিভাগীয় বন্য প্রানী সংরক্ষককে অবগতি করলে তাহারা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
এভাবে পাখি শিকারি সুমন গত কয়েক মাস ধরে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত সকাল বিকাল ও সন্ধা রাতে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে একের পর এক পাখি শিকারের কাজে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন জাতের মা ও বাচ্চা পাখি ইয়ার গানের গুলি দিয়ে শিকার করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে সুমনের সাথে কথা বললে তিনি দাম্ভিকতার সাথে স্থান ত্যাগ করে বীর দর্পে চলে যায়।