নিজস্ব প্রতিবেদক : রবিবার ১৮ জুন, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল হলরুমে আয়োজিত এক কর্মসূচির মাধ্যমে মূল্যায়নকৃত খাদ্যস্থাপনার গ্রেড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্যের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, সবাইকে এ+ দিতে পারলে আমাদেরও ভালো লাগতো। তখন আমরা বুঝতাম যে, দেশে নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ বজায় আছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সারাবিশ্বে ক্যান্সার, কিডনি রোগসহ অন্তত ২০০ অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণ হলো অনিরাপদ খাদ্যগ্রহণ।
তিনি বলেন, খাদ্যগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য পেট ভরা না। শরীরের পুষ্টি সাধনই হলো খাবার গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।ধীরে ধীরে খাদ্যস্থাপনার গ্রেডিং কার্যক্রম পেশাদার দক্ষ নিরীক্ষক দল দ্বারা পরিচালনা করার এবং খুব শীর্ঘই নিরাপদ খাদ্যের উপর প্রফেশনাল কোর্স চালু হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, এনফোর্সমেন্ট বা জরিমানা দ্বারা কখনো এককভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব না। এজন্য দরকার আচরণগত পরিবর্তন ও মনোজগতের পরিবর্তন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মামুনুর রশিদ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫৮ টি খাদ্য প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং প্রদান করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে এ+, এ, বি ও সি গ্রেডের স্টিকার প্রদান করা হয়। ১৫৮টির মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে এ+ গ্রেড, ৫৩ টি প্রতিষ্ঠানকে এ গ্রেড, ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বি গ্রেড এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে সি গ্রেডের স্টিকার প্রদান করা হয়। সারাদেশ থেকে আগত খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ স্টিকার গ্রহণ করেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দক্ষ মনিটরিং টিম কর্তৃক মনিটরিং এর মাধ্যমে এ গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক জনাব সহদেব চন্দ্র সাহা। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।