নিজস্ব আভিজাত্যপূর্ণ ভঙ্গিতে নিজস্ব আসনে রাজকীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বসে ছবি তুলেছেন, সহকারী অধ্যাপক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলাধিন সালথা সরকারি কলেজের (কলেজ কোড-৫৩৫১,ইআইআইএন-১০৮৯০২) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রতি মাসে বেশিরভাগ সময় কলেজে অনুপস্থিত থেকেই বেতন ভাতা তুলছেন বলে জানাগেছে।
সরজমিন অনুসন্ধান,তার ফেসবুক পোস্ট ও কালবের নথিপত্র স্টাডি করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জাতীয় পর্যায়ের সমবায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) এ ট্রেজারার পদে আছেন নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী তিনি এধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না। এখান থেকে তিনি যে ভাতা গ্রহন করেন তা কলেজের বেতনের চেয়ে বেশি।সমবায় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি ঔষধের ব্যবসাও করেন। মিটফোর্ডের ভেজাল ঔষধের কারবারের সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আছে।
সম্প্রতি কলেজের একজন প্রভাষক কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দায়েরকৃত এক অভিযোগে এই তথ্য উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব)-এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
তিনি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) এর বোর্ড সভা,নির্বাহী কমিটির মিটিং,বিভিন্ন উপ-কমিটির সভা, সারা দেশে বিস্তৃত কালবের সদস্য সমবায় সমিতির এজিএম-এ অংশগ্রহন করতে তার মাসের বেশির ভাগ সময় চলে যায়।
এভাবে তিনি দিনের পর দিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।নিয়মিত উপহার উপঢৌকন পেয়ে অধ্যক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকায় আছেন অথচ ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।সরজমিন তদন্তকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, বিগত প্রায় এক বছর নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস কলেজে বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। অধ্যক্ষের সাথে তার সখ্যতা থাকার কারনে কর্তব্য কর্মে গাফিলতি করে যাচ্ছেন।
সালথা সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের কর্তব্য কর্মে অবহেলা,কলেজে অনুপস্থিতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ।
এ বিষয়ে নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের মতামত জানার জন্যে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
যে কারনে তার বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হল না।এদিকে সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ না করলেও তিনি কালবের বোর্ড সভায় ও নানা জনের কাছে দম্ভোক্তি সহকারে বলেছেন সাংবাদিকদের তিনি পাত্তা দেন না। তাদের সাথে কথাও বলেন না।তিনি কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও তার কেউ কিছু করতে পারবে না।