বিশেষ প্রতিবেদক: গণপূর্ত অরবরিকালচার বিভাগ ঢাকা জোনের প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ কুদরত-ই-খুদা তার কুদরতীতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করে নির্বিঘেœ চালাচ্ছেন সীমাহীন দুর্নীতি। ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি ফুলের বাগানে ছাগলের খামার স্থাপন, রাতের আঁধারে গোপনে গাছ বিক্রি, গাড়ি বিক্রিসহ নানা অনিয়ম ও অসদাচারনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। বেনামে ঠিকাদারি ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার শক্ত অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে জমা পড়লেও তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। দুদক থেকেও একাধিকবার তলব করেও তার কোন হদিস মেলেনি। জনমনে একটাই প্রশ্ন তার খুটির জোড় কোথায়? এই প্রধান বৃক্ষপালনবিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার ছিলো। বাকৃবি ছাত্রদলের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদেও নির্বাচন করেছেন তিনি। বিতর্কিত ব্যাক্তি শেখ কুদরত-ই-খুদা রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় গণভবন, বঙ্গভবনসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দপ্তরগুলোতে দায়িত্ব পালন করায় তথ্য পাচার সহ সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন আশংকাজনক নানা প্রশ্ন ঘুড়পাক খাচ্ছে সমালোচক মহলে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত চার দলীয় জোটের প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ও বিএনপিপন্থী পেশাজীবি সংগঠন এগ্রিকালচারিষ্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এর সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ কুদরত-ই-খুদা বিএনপি সরকারের আমলে মির্জা আব্বাস ও আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে গণপূর্ত অধিদপ্তর শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ে জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি পদদলিত করে। কিন্তু মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে আওয়ামীপন্থী লেবাস পরে চামচেমি আর তোষামোদি করে সিনিয়র এক কর্মকর্তাকে টপকে চলতি দায়িত্ব নিয়ে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে সুকৌশলে এক লাফে দুই টেবিল প্রমোশন নিয়ে বাগিয়ে নেন গণপূর্ত অরবরিকালচার বিভাগের প্রধান বৃক্ষপালনবিদের পদ। প্রধানমন্ত্রীর এক প্রভাবশালী উপদেষ্টার ইমেজ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল আছেন তিনি। ভোল পাল্টানো এই প্রধান বৃক্ষপালনবিদ আসলেই কি দক্ষতার বলে দায়িত্ব পালন করছেন নাকি যখন যে সরকার আসে তার হয়ে নিজের আখের গোছান এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
চতুর শেখ কুদরত-ই-খুদা প্রধান বৃক্ষপালনবিদ পদে অধিষ্ট হবার পর থেকেই জড়িয়ে পরেন সীমাহীন দুর্নীতিতে। নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নানা অনিয়মের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পকেটস্থ করেছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক পরিচয় দিয়ে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে খবরদারি ও তদবির বানিজ্যেরও অভিয়োগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এ অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট খোদ গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপিপন্থী সক্রিয় নেতা কিভাবে গণপূর্ত বিভাগের এমন লোভনীয় পদে রয়েছেন এমন প্রশ্ন সমালোচকদের। কোন খুঁটির জোড়ে পদস্থ এই কর্মকর্তা সরকারী চাকুরী শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।
এ ব্যপারে গণপূর্ত অরবরিকালচার বিভাগ ঢাকা জোন-১ এর প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ কুদরত-ই-খুদার সাথে মুঠোফোন (০১৮১৬-৩০২৯৮৫/০১৭১৩-০০৪৯৬৮) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।