সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র ডিজিএম এর হুকুমে অফিসের কর্মচারী কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।সোমবার(৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজারের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সরিষাবাড়ী জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অধীন ৯৯ হাজার ৬’শত ৩২ জন বিভিন্ন ক্যাটাগরির গ্রাহকদের জন্য ২টি উপ-কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ঘন ঘন অসহ্যনীয় লোড শেডিংয়ের জন্য জরুরী নম্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অন্তত: ২৫ বার সহ ডিজিএম কে ১৫ বার ফোন দেয়ার পরও ফোন রিসিভ করেনি তারা। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিরেক্টর, সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
ফোন না ধরার বিষয়ে জানার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মুসা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া সহ সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নুরুল হুদা এর সাথে আলোচনা করতে কক্ষে প্রবেশ করে অবগত করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ও ডিজিএম এর মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন ক্ষিপ্ত হলে ডিজিএম নুরুল হুদা তার অফিসের কর্মচারী সোলাইমান কে ডেকে তাদেরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে অফিসের কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধস্তাধস্তি সহ কিল ঘুষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মুসা’র শার্ট ছিড়ে যায় এবং শরীরের কয়েক জায়গায় জখম হয়।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মুসাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার এস আই মাহমুদুল হাসান সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে যান এবং সংঘাত এড়াতে গতকাল দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন লক্ষ্য করা গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিজিএম ও কর্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুল হুদা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এ বিষয়টি অনাকাঙ্খিত হওয়ায় আমি এর জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। তিনি আরও জানান, এটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এর কক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন ও সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর এর মাধ্যমে সমঝোতা চেষ্টা চলছে।