আজ বীর উত্তম জি এম মুশফিকুর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী, 

Uncategorized চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বীর উত্তম জি এম মুশফিকুর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী, মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ‘বীর উত্তম’ উপাধি পান তিনি। জি এম মুশফিকুর রহমান ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অফিসার ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

সালটা তখন ১৯৮৯, ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। প্রতিদিনই শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হতো। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ রাতে জি এম মুশফিকুর রহমান লক্ষ্মীছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে ১৭ জন রেইডার্স নিয়ে চেলাছড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলেন। ক্যাম্প থেকে আসতে আসতে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। পাহাড়ি পথ দুর্গম, বিপদসঙ্কুল।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু, দুঃসাহসী জোয়ানরা স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগেই পৌঁছে গেলেন লক্ষ্যস্থলে। লক্ষ্য যেন হাতছাড়া না হয়। সেজন্য সিন্দুকছড়ি ক্যাম্প থেকেও সেকেন্ড লে. সাইদ আর একটি দল নিয়ে উল্টাছড়ি গ্রামের পাশে পজিশন নেন। শত্রুর সাথে সংঘর্ষ এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। নিজস্ব সোর্সের সহায়তায় পাহাড়ের পাদদেশে, আর চূড়ায় দুটি জুম ঘর শনাক্ত করলেন লে. মুশফিক। সোর্সের ভাষ্যমতে এ দুটি ঘরেই সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অবস্থান করার কথা।

দুটো উপদলকে পাহাড়ের পাদদেশে পজিশন নিতে বলে নিজে ৫ জনসহ চলে গেলেন পাহাড়ের চূড়ায়। জুম ঘর থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে লে. মুশফিক শুয়ে আছেন তার দলসহ। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে দেখা হয়ে গেল দুই পক্ষের ছায়া অবস্থান। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে গেল সেই পাহাড়চূড়া। আর, শত্রুর প্রথম বুলেটটাই নিজের বুকে নিলেন লে. মুশফিক।‌

দেশমাতৃকার জন্যে এভাবেই নিজের জীবন বিসর্জন দেন লে. মুশফিক। ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম ‘বীর উত্তম’ উপাধি পেলেন সময়ের এক দুরন্ত সাহসী সেনা কর্মকর্তা শহীদ লে. মুশফিক। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা এবং শান্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এভাবেই প্রাণ দিয়ে গেছেন আমাদের বীর সেনানীরা। তাঁরা আমাদের দেশের গর্ব, আমাদের অহংকার। তাঁদের বীরত্বগাথা বুকে লালন করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের ব্রত। (তথ্য সূত্র ও ছবি : বি.এম.এ.)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *