নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন তাবলীগ জামায়াতকে সামানে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে নির্দেশনা পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তাবলীগ জামাতের সাথী, মুসল্লি এবং মসজিদগুলোর ইমাম ও খতিবদের উদ্দেশে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাক্ষরিত ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে তাবলীগের কার্যক্রম একটি অরাজনৈতিক, অহিংস, শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি প্রায় সকল এলাকায় মসজিদে প্রায়শই বিবাদ ও সহিংস মারামারি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী উল্লেখ করে, ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা তথা সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নি¤œরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে নির্দেশনায় বলা হয়।
১. সকল মসজিদের ইমান ও খতিব সাহেবগণ তাবলীগ সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে মুসল্লিদের উত্তেজনা ও উস্কানিমূলক কোনো কথা বলা এবং কার্যক্রম করা থেকে বিরত থাকবেন।
২. সরকার ঘোষিত দুইটি ইজতেমার তারিখ রয়েছে। ইজতেমায় যাওয়ার আহ্বান জানালে সকল ইজতেমায় যাওয়ার জন্য বলতে হবে। একটি ইজতেমায় যাওয়া যাবে এবং অপর ইজতেমায় যাওয়া যাবে না। এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না।
৩. মসজিদের সকল মহল্লার সাথীরা সকল দ্বীন-ই আমলগুলো যার যার মত সম্পাদন করবেন। ইহা ছাড়া এক পক্ষ অন্য পক্ষকে কোনো রকম সমালোচনা বা কটাক্ষ করে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন।
৪. শান্তি শৃঙ্খলা বিঘœ হতে পারে এমন যে কেনো কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
৫. কারো উস্কানিমূলক বক্তব্য কোন অস্থিতিশীল বা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি উদ্ভব হলে সংশ্লিষ্ট বক্তব্যদানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ইজতেমাকে ঘিরে বিদ্যমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন হয়। এবারও মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দ কান্দলভীর অনুসারীরা ইজতেমা পরিচালনা করবেন।
অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম জমায়েত।