নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ব্যায়ামাগারগুলো যৌথ মুলধনী অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে গুলিস্তানের শহীদ মতিউর পার্কের (মহানগর নাট্যমঞ্চ) অভ্যন্তরে নির্মিত ‘রাইসা’ নগর ব্যায়ামাগার এর উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরবাসীর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে ব্যায়ামাগার স্থাপন করবে। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ‘রাইসা’ নগর ব্যায়ামাগারের শুভ উদ্বোধন করলাম। আমাদের ব্যায়ামাগারগুলো যাতে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালিত হয় সেজন্য আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। যৌথ মূলধনী অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা এসব ব্যায়ামাগার পরিচালনা করছি।”
ব্যায়ামাগারে স্বল্পমূল্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সন্নিবেশ করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “নতুন আঙ্গিকে, অভিনব উপায়ে যৌথ মূলধনী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা এই ব্যায়ামাগার পরিচালিত করবো। পুরুষ-মহিলা সবাই এখানে এসে শরীরচর্চা করতে পারবেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা স্বন্নিবেশ করে ব্যায়ামাগারটা সাজানো হয়েছে। এখানে জনগণ স্বল্পমূল্যে কিন্তু আধুনিক পরিবেশে শরীরচর্চা করতে পারবে।”
আগুন আগ্রাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান কখনোই হয়নি, এবারও হবে না জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা অত্যন্ত ব্যথিত যে, গণপরিবহনের উপরে বেশি আগ্রাসন হচ্ছে। আমরা রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করবো, এই আগ্রাসন, এই অন্যায় এবং আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে যে রাজনীতি করা হচ্ছে, সেটি তারা প্রত্যাহার করে আসন্ন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। আগ্রাসন করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কখনোই কোনো রাজনৈতিক সমাধানে উপনীত হওয়া যায়নি। এবারও যাবে না।”
পরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সংস্কার পরবর্তী ২০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র এবং ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিমোহনী প্রান্তে জিরানি খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন,
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. এনামুল হক, সমাজকল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসনের রোকসানা ইসলাম চামেলি ও নাসরিন আহমেদসহ অন্যান্য ওয়ার্ডের সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।