মহসীন আহমেদ স্বপন : আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর প্রার্থীদের নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জমে উঠেছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রচারণা। দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস, নিজ কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ আনলেও তা অস্বীকার করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
একইভাবে উত্তরে প্রচারণার সময় নিজের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এদিকে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অলিগিল চষে বেড়াচ্ছেন।
তীব্র ঠান্ডায়ও উত্তাপ ছড়াচ্ছে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা। বেশ জোরেসোরে চলছে শোডাউন। গত কয়েকদিনের তুলনায় জনসংযোগে বেড়েছে দলীয় নেতাকর্মীর অংশগ্রহণও।
রোববার রাজধানীর শান্তিনগর থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগে নামেন দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। বিএনপি মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ এনে নির্বাচিত হলে সম্প্রীতির রাজনীতি সূচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, তারা অতর্কিত আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীসহ আমাদের গণসংযোগে যারা ছিল তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা চাই সম্প্রীতির রাজনীতি।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী-লীগ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। জজ কোর্ট এলাকায় প্রচারণার সময় তিনি দাবি করেন, নিজে প্রচারণা চালাতে পারলেও তার দলের কাউন্সিলর ও সমর্থকরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইশরাক বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করার পর সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা চোরের মতো পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের দিকে ঢিল ছোড়ে।
এদিকে মিরপুর শাহ আলীর মাজার জিয়ারতের পর মিছিল নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বিএনপি সমর্থকদের মিছিলে হামলা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তাবিথ বলেন, এ মুহূর্তে আমরা মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছি না।
এর আগে রোববার সকালে উত্তরায় বসে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে জনসংযোগ শুরু করেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ সময় মানবিক ঢাকা গড়বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বললেন, যানজটমুক্ত ঢাকা ইনশাল্লাহ করতে পারব। আমরা অলরেডি প্লান করেছি।
সব কিছু ছাপিয়ে নতুন মেয়ররা নতুন ঢাকা উপহার দেবেন বলে প্রত্যাশা নগরবাসীর।