অভিযোগ আর প্রতিশ্রুতি প্রচারণায় মেয়র প্রার্থীরা

রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ-বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জমে উঠেছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রচারণা। বড় দুই দলের চার প্রার্থীই চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন অলিগলি। এ সময় প্রত্যেকেই বাসযোগ্য নগরী গড়ার অঙ্গীকার করেন।
শেষ পৌষে রাজধানীতে রোদের ঝিলিক যতটা না উত্তাপ ছাড়িয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি উত্তাপ, দুটি সিটির নির্বাচনী মাঠে। দুই বড় দলের চার হেভিওয়েট প্রার্থীই সোমবার সকাল থেকেই রয়েছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে।
উত্তরের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম জনসংযোগ শুরু করেন খিলগাঁও এলাকায়। আয়োজিত পথসভায় নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচিত হলে মাদক, যানজট আর জলাবদ্ধতামুক্ত ঢাকা উপহার দেবার অঙ্গীকার করেন। বিএনপি মেয়র প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কারো গণসংযোগে বাধা দেবার মানসিকতা নেই তার দলের।
তিনি বলেন, আমি আসছি তার পাশ দিয়ে তারা গান বাজিয়ে বাজিয়ে যাচ্ছে। আমি তা রেকর্ড করে নিয়ে আসছি। সুতরাং নিজেরা বিশৃঙ্খলা করে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
দক্ষিণ সিটির সায়েদাবাদ এলাকায় গণসংযোগে নামেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। উন্নত ও সুশাসিত ঢাকার জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচিত হতে পারলে ঢাকা বাসীর সেবক হিসেবে আমরা ঢাকাকে উন্নত ঢাকা করবো।
অন্যদিকে চতুর্থ দিনের প্রচারণা শুরুর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন বিএনপির দুই প্রার্থী। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনী আচরণ মানছে না আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
দক্ষিণের টিকাটুলি এলাকায় বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রচারণা চালান। এসময় তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন এর চেয়েও ন্যক্কারজনক ছিলো। আমাদের সিনিয়র নেতাদের রক্তাক্ত করেছে, গুলি করেছে। আমরা এসব কিছু মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছি।
এদিকে উত্তর সিটির তেজগাঁও এলাকায় জনসংযোগে নামেন তাবিথ আউয়াল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রোববারের হামলার পর নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করা হলেও উত্তর মেলেনি। নির্বাচিত হলে উন্নয়নের নানা আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় অফিস মাইক্রোফোন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সেটার ব্যাপারে যখন অভিযোগ করতে যাচ্ছি, তখন নির্বাচন কমিশন এমন আচরণ করছে। যে আমরা হয়রানির শিকার হয়ে যাচ্ছি। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *