তারিখ পরিবর্তনের দাবি আওয়ামী লীগ-বিএনপির

রাজধানী রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক : সরস্বতী পূজা এবং ভোট একই দিনে হওয়ায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। ছুটির দিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ান প্রার্থীরা। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে পূজার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানান উত্তর সিটির আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটির বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে পোস্টার-ব্যানার আর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম পুরো রাজধানী।
কিন্তু ভোটের দিনই সরস্বতী পূজা থাকায় নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রার্থীরাও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাওনিয়াবাদ এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তিনি, পূজোর দিন নির্বাচনের তারিখ থাকায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে আবারো ভেবে দেখার অনুরোধ জানান। এবং সুযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনকে তারিখ পরিবর্তনেরও দাবি জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংবিধানেও আছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, এটা কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে বার বার। আমি ইসিকে গতকালও অনুরোধ করেছি আজকেও বলছি যদি সুযোগ থাকে পূজার দিনটা যেন নির্বাচনের দিন না হয়। আমি অনুরোধ করছি নির্বাচন পেছানোর জন্য।
এদিকে, রাজধানীর ধনিয়া এলাকা থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন দক্ষিণের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। পূজার দিন ভোট কেন, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানান। আর ওইদিন ভোট যদি হয়ও, তবে ধানের শীষে ভোট দিয়ে তার জবাব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, পূজার দিন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান করাটা উচিত নয়। তার জন্য নির্বাচন পিছাতে পারে বা আগাতে পারে। আমাদের ঈদের দিন নির্বাচন দিলে আমরা পিছাতে বলতাম। নির্বাচন কমিশন জানতো ৩০ তারিখ পূজা কেনো তারা নির্বাচনের তারিখে ৩০ তারিখ দিলো।
দুই প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগসহ এলাকাবাসীর উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *