নড়াইল সদর হাসপাতালের নার্স ও আউটসোর্সিং এ কর্মরতদের অনিয়ম দূর্নীতি,নিত্যদিনের সঙ্গী,দেখার কেউ নেই

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ স্বাস্থ্য

মো: রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) :  নড়াইল সদর হাসপাতালের নার্স ও আউটসোর্সিং এ কর্মরতদের অনিয়ম দূর্নিতী যেন নৃত্যদিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে,যেনো দেখার কেউ নেই। প্রতিনিয়তই রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা,তবে হাসপাতাল কর্তিপক্ষের নেই কোন কার্যকারি ভুমিকা। নড়াইল সদর হাসপাতালে গত (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াখালী ঘাটে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ১ ব্যক্তিকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসলে কর্তত্বরত চিকিৎসক দ্রুত রোগীর পায়ের এক্সেরে করিয়ে এক্সেরে রিপোর্ট দেখে রোগীর পায়ে পিলাস্টার করতে বলেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় ইমার্জেন্সিতে রাত্রিকালীন ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন,সরকারি নার্স মোজেদা বেগম ও আউটসর্সিং এ কর্মরতর জুয়েল। এর আগে রোগীর পায়ে পিলাস্টার করতে প্রথমে নার্স মোজেদা ১ হাজার টাকা দাবি করেন,পরে আউটসর্সিং এ কর্মরতর জুয়েল ৬ শত টাকা নিয়ে রোগীর পায়ে পিলাস্টার করে দেন। এসময় ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন’রা গোপনে টাকা লেনদেনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করেন।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগকীরি সাগর জানান,গত (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াখালী ঘাটে সড়ক দূর্ঘটনায় ১ জন আহত ব্যক্তিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রোগীর পায়ের এক্সেরে করাতে বলেন,এসময় আমি রোগীর পায়ের এক্সেরে করিয়ে চিকিৎসককে এক্সেরের রিপোর্ট দেখালে তিনি রোগীর পায়ে পিলাস্টার করতে বল্লে হাসপাতালের নার্স মোজেদা ১ হাজার টাকা দাবি করে এবং আউটসর্সিং এ কর্মরত জুয়েল ৬ শত টাকা নিয়ে পিলাস্টার করে দেন।

অনিয়ম দূর্নিতী’র মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে জুয়েল মুঠোফনে সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন,সরকারি নার্স মোজেদা ১ হাজার টাকা সয়তানি করে চেয়েছে,আমিও সয়তানি করে ৬ শত টাকা চেয়েছিলাম পরে ১শত টাকা নিয়েছি।

এ বিষয়ে নার্স মোজেদার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাম পরিচয় গোপন রেখে হাসপাতালের চিকিৎসক ও সচেতন মহল জানান,সরকারি হাসপাতালে গরিব অসহায় রোগীরা সেবা নিতে আসলে রোগীদের সাথে প্রতিনিয়তই এমন কর্মকান্ড করে থাকে তারা। নার্সদের এ ধরনের অনিয়ম দূর্নিতী আজ নতুন নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব যেনেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে আজ সরকারি হাসপাতালের এমন করুন অবস্থা।

সরকারি হাসপাতালের কর্মচারি’রা ঘুষের অবৈধ টাকা হাসতে হাসতে কিভাবে চাই,ভেবে পাই না,তারা কি বেতন পাই না,কোন ভাবেই রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নাই তাদের। দ্রুত এসকল ঘুষখোরদের আইনের আওতায় এনে নড়াইল সদর হাসপাতালকে অনিয়ম দূর্নিতীবাজদের হাত থেকে রক্ষা করতে হাসপাতাল কর্তিপক্ষকে আহব্বান জানান,নড়াইলের সচেতন মহল।

এদিকে,এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও কিছু দিনের বাইরে থাকলেও হাসপাতালের কিছু দূর্নিতীবাজদের জন্য অনিয়মকারী’রা আবারও অনিয়ম দূর্নিতী করেও নড়াইল সদর হাসপাতালে ফিরে আসতে সুযোগ পাই বলে জানা যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *