নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বব্যাপী সঞ্চারিত ও প্রসারিত করতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো। শুধু বাংলাদেশের সীমানার মধ্যেই নয়, বছরব্যাপী নানা আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপিত হবে বিশ্বের ১৯৫টি দেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ঘিরে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে বিশাল পরিসরে বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মে ইতোমধ্যে বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। তাঁর জন্মশত বার্ষিকী বিশ্বব্যাপী পালনের মাধ্যমে বিশ্বপরিম-লে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আরও আলোকিত হবে। বঙ্গবন্ধু শোষিত-বঞ্চিত-মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি আজীবন মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ চব্বিশ বছরের ত্যাগ-তিতীক্ষা, সংগ্রাম ও আন্দোলনের ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশী-বিদেশি চক্রান্তে স্বাধীনতা বিরোধীরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেন। ফলে ৭৫ পরবর্তী দীর্ঘসময় এদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল ভুলণ্ঠিত। জনগণ তাঁদের আইনগত ও গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে ছিল বঞ্চিত। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ নভেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে মানুষের ভাত-ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। যার ফলে ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি হচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি জয়যাত্রা টেলিভেশনের ‘জয়যাত্রা মুজিববর্ষ’ সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে, ভাষা আমাদের বাংলা, জাতিতে আমরা বাঙালি, ধর্মে আমরা নিরপেক্ষ। বঙ্গবন্ধু মানবিক গুণাবলিতে উজ্জীবিত একজন পরিশুদ্ধ মানুষ ছিলেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সালাম মাহমুদ এর সঞ্চালনায় ১০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে প্রচারিত হয়ে আসছে।