নড়াইলে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

Uncategorized ইতিহাস ঐতিহ্য খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো:রফিকুল ইসলাম, (নড়াইল) :  ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইলে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালে শুরু হয় নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্ত্বরে এ আয়োজন। তৎকালীন সময়ে মাত্র আট হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে এ আয়োজনের যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছর একুশের সন্ধ্যায় স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের,এখন বেড়েছে আয়োজনের পরিধি। বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতার কারণে বড় আয়োজন করা হয়,তবে এখন আর কোনো সমস্যাই হয় না আয়োজনে। এ বছর মোমবাতি প্রজ্বলন আয়োজন সহযোগিতা করেছে মাছরাঙা টেলিভিশন ও স্কয়ার কম্পানি। এক লাখ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে পালিত হয় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।


বিজ্ঞাপন

দর্শনার্থী ঈপ্সিতা জানান,এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন দেশের আর কোথাও দেখিনি। নড়াইলবাসীদের এ আয়োজন সারাদেশকে আলোকিত করবে বলে আমি মনে করি। হাজার হাজার নারী-পুরুষ,শিশু,বয়বৃদ্ধ সকল শ্রেণির মানুষের মিলন মেলার মধ্যে দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলো,যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অন্য কোনো জেলায় এতো বড় আয়োজন হয় বলেও শুনিনি।

দ্বীপশিখা প্রজ্জ্বলনের অন্যতম সংগঠক নাট্যকার কচি খন্দকার বলেছেন, ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম ৪০ থেকে ৪৫ জন যুবক মিলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে সর্ব প্রথম শহীদরে স্মরণে আট হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিলাম। শুরুতে মাঠের ডিজাইন করেছিলেন শিল্পী কাজল মুখার্জী,শিল্পী দুলাল সাহা ও লিটন।

আজ এ তিনজন শিল্পীসহ ঐ সময়কার সহযোগী শামীম হাসিবুর মারা গেছেন। তাদের ত্যাগ মেধার ফসল আজ আমারা পেয়েছি। আজ দ্বীপশিখা প্রজ্জ্বলন জাতীয়ভাবে পরিচিতি পেয়েছে । একুশের সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে আমরা এবার এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের স্মরণ করতে পারায় গর্বিত বলেও জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *