ডেস্ক রিপোর্ট : এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে বিশ্বের ৫০টি দেশে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। আক্রান্ত হয়ে চীনে একদিনে ৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৬৫-তে। চিকিৎসাধীন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে চীনসহ অন্তত ২৮টি দেশে। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৩টি দেশে ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এ অঞ্চলের বাকি দেশগুলোও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে চীনসহ অন্তত ২৮টি দেশে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ায় এ অঞ্চলের বাকি দেশগুলো চরম ঝুঁকিতে আছে। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে অচিরেই বিশ্বের মোট ৫০টি দেশে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংকট কাটিয়ে উঠতে আপাতত ৬শ’ ৭৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা টেডরোস আডহানোম গেবরিয়াসুস বলেন, এখন সময় এসেছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া আমরা এই রোগ থেকে নিস্তার পাবো না। পরিস্থিতি খুবই খারাপ হচ্ছে দিন দিন। রাজনৈতিক, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে উন্নত-অনুন্নত সব দেশকে।
করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের চেয়ে, মৃতের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আতঙ্ক কাটছে না। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের স্বজনরাও রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। এভাবে চলতে থাকলে বৈশ্বিক মহামারির শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
করোনাভাইরাসের কারণে চীনে কয়েক কোটি মানুষের জীবন এখন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ। হুবেই প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ প্রদেশের উহানেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৪শ’ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতকরাও। এরমধ্যে আতঙ্কে চীন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ কয়েকটি দেশ।
এদিকে, জাপানে ব্রিটিশ রণতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের সাড়ে ৩ হাজারের বেশি যাত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন করোনা আক্রান্ত।