মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা : থানার সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচি

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ায় উপজেলা দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে গজারিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।


বিজ্ঞাপন

হামলায় আহত সাংবাদিক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুরান বাউশিয়া গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আদম বেপারী আমিনুর রহমান হারুন শিকদার আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তার বাড়িতে মাদকের আসর বসানো হয় এই তথ্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোয় ইতোপূর্বে হারুন শিকদার ও তার লোকজন আমার উপর হামলা করে।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি আমি বাউশিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক শ্রেণির সদস্য প্রার্থী হওয়ায় আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় সে। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও সে আমাকে মারধর করবে বলে জানায়। এ ঘটনার জের ধরে আজ (২০ মে) সকাল এগারোটার দিকে ভবেরচর বাস স্যান্ড এলাকায় হারুন শিকদারের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালায় তার লোকজন। আমি বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। আমরা থানার সামনে অবস্থা নিয়েছি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হলে আমি বাড়ি ফিরে যাব না।

এদিকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, সিনিয়র সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু-সহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিজয় টিভির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমরুল ইসলাম নয়ন, গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধান-সহ অসংখ্য মানুষ হারুন শিকদার ও তার লোকজন দ্বারা মারধরের শিকার শিকার হয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *