শরীয়তপুরে এক বিএনপি নেতার তান্ডবে ঘরছাড়া বৃদ্ধা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন মানবিক খবর সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি :  শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদ ছৈয়াল ও তার ছেলে আশ্রাফুল জামান ঐক্যের তান্ডবে এক বৃদ্ধা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এবিষয়ে মঙ্গলবার ১৩ আগষ্ট বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নাজমা মনোয়ার (৬০) নামে এক ভুক্তভোগী নারী।


বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদ শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।


বিজ্ঞাপন

থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নাজমা মনোয়ার নামে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। দেশের রাজনৈতিক পতপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে গত বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর নাজমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির সীমানা প্রচীর ভেঙে ফেলে এবং বসতবাড়িসহ বিল্ডিংয়ের জানালার কাচ ভাঙচুর করে। পরে নাজমা নামে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর ওই বাড়ীটিকে দখল করে নেন বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদ। এসময় ওই নাড়ী জীবন বাচাতে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী নাজমা মনোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এই জমিতে বসবাস করে আসছি। অনেক দিন ধরে জমিসংক্রান্ত জেরে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন হানিফ মাহমুদ। একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করেছেন। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি ও তার ছেলেসহ কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। আমি তাদের ভয়ে অনেকদিন ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলের বিচার দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হানিফ মাহমুদ বলেন, ঘর ভাংচুর করছি প্রয়োজনে আরও করবো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আমি কিছু করতে পারিনি। তবে তার কাছে জমির কাগজপত্র আছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে জান।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরন বলেন, শুনেছি এমন কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান তুলে হামলার পরিকল্পনা করছে। সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন, সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। কেউ আইনকানুন নিজের হাতে তুলে নিলে আমাদের কোনো সহযোগিতা পাবে না। তিনি এধরণের কাজে লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল জানান, মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *