শান্তি মিছিলের কর্মকর্তারা এখন বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসেবে আন্দোলনে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বিসিএস কৃষি ক্যাডার থেকে গত আওয়ামী সরকারের সময় যে সমস্ত আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তারা উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছিল আজ তারাই বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় দিয়ে প্রকৃত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাতারে সামিল হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে দলীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হতো। বিসিএস (কৃষি) ১৩ ব্যাচের গ্রেডেশন নম্বর শুরু ১৬৯৪ থেকে। অথচ ১৪ জন যোগ্য কর্মকর্তা বাদ দিয়ে গ্রেডেশন নং ১৭০৮ কে উপসচিব করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ড. গোলাম মো. ফারুক এর গ্রেডেশন নং ১৭৩৬। মাঝখানে ২৮ জন কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে তাকে উপসচিব করা হয়। ২০ তম ব্যাচের শেষের দিকের কর্মকর্তা গ্রেডেশন নং ২০১৫ বিলকিস বেগম উপসচিব হয়েছিলেন যিনি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বড় নেত্রী ছিলেন। ওই সময় দলীয় পরিচয় ছাড়া কারো আবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণই করা হতো না।

২৫ ব্যাচের ছাইদা আক্তার পরাগ (২১৪৫) পদোন্নতি পান তার স্বামীর তদবিরে। তার স্বামী মোহাম্মদ সফিউজ্জামান (২১২৭) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মেয়াদ উক্তীর্ন কমিটির মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স এর অত্যান্ত ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। মোহাম্মদ সফিউজ্জামান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। তিনি সাবেক কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের স্নেহভাজন কর্মকর্তা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তাদের নেতা।

পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রায় সকল কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছে এবং চাকুরী জীবনে আওয়ামীপন্থী হয়েও বর্তমানে নিজেদেরকে বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রানপন চেষ্টা করছে। অনেকেই যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে। এসব কর্মকর্তা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেলে প্রশাসনে থেকে এই সরকারের বিরুদ্ধে স্যাবোটাজ করতে পারে বলে প্রকৃত বঞ্চিত কর্মকর্তারা আশংকা করছেন। বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি এসব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার পূর্বে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই করা প্রয়োজন।

ড. মো. সিরাজুল ইসলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ছিলেন। ড. মো. আবুল হোসেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ডাকসাইটে নেতা। একইভাবে এই তালিকার প্রায় সবাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য ছিলেন। এরা সকলেই সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাহাউদ্দিন নাসিমের অনুসারী গত ৪ আগষ্টের ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে শান্তি মিছিলের নামে শেখ হাসিনা সরকারের ছাত্র হত্যার কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়ার জন্য মাঠে নেমেছিল। এদেরকে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা অতীব জরুরী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *