মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক আদেশ : ৪১৩ কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন ডা: আমিনুল !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ঐক্যের কাছে নতি শিকার করে স্বৈরাচারী হাসিনার সরকারের পতন ঘটার পর সকলের সমার্থনে নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুসের নেতৃত্বে তত্বাধায়ক সরকার গঠিত হয়। সকলের প্রত্যাশা ছিল সকল পর্য্যায়ে কেউ যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছে তারা যাতে যথাযথ অধিকার পায়। ইতোমধ্যে সরকারের প্রায় সকল দপ্তরে বৈষম্যের শিকার সকলেই তাদের দাবী-দাওয়া নিয়ে স্ব-স্ব দপ্তরে কেউ বা সচিবালয়ে তাদের দাবী-দাওয়া পেশ করতে শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে পদ-পদবী ও বাগিয়ে নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

অন্যান্য দপ্তরের ন্যয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও পিছিয়ে নেই। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল এই তত্বাধায়ক সরকারের শুরুতেই বড় ধরনের বৈষম্যমূলক কাজ শুরু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।


বিজ্ঞাপন

গত ২৫/৮/২৪ ইং তারিখে ৩৩.০০.০০০০.১১৭.১৯.০০৫.১৮-৩১৩ সংখ্যক আদেশে মোট ১০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও বদলী করা হয়েছে। উক্ত আদেশে অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন, ডা: মলয় কুমার শুর যিনি বর্তমান গ্রেডেশনের (৯০৪) ৩ নং কর্মকর্তা তাকে সরিয়ে মাত্র কয়েকদিন পূর্বে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকতা ডা: বয়েজার রহমান (যিনি বর্তমান গ্রেডেশনে ৯৩১ জুনিয়র কর্মকর্তা) তাকে পরিচালক প্রশাসনের পদে পদায়ন করা হয়েছে। ডা: মলয় কুমার শুর একজন সিনিয়র, দক্ষ এবং সৎ কর্মকর্তা হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত। তার সমস্যা তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী।

উক্ত আদেশে সবচেয়ে বৈষম্যের সৃষ্ঠি করা হয়েছে গ্রেডেশনে ১৩৬১ নং ক্রমিকে উল্লেখিত কর্মকর্তা ডা: মো: আমিনুল ইসলামকে পরিচালক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করে। এ কর্মকর্তাকে ৪১৩ জন কর্মকর্তাকে ডিংগিয়ে পরিচালকের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

যা স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত কোন দপ্তরে করা হয়নি। শুধু তাই নয়, নিন্মপদের একজন কর্মকর্তাকে উচ্চপদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করতে হলে সিনিয়রিটি রক্ষা করে দেয়ার বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারে একটি কমিটি রয়েছে। উক্ত কমিটির সুপারিশক্রমে চলতি দায়িত্ব প্রদান করার নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হয়নি।
বিষয়টি বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল পর্যায়ে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

সকলেরই একই প্রশ্ন এটা কিভাবে সম্ভব? নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং সচিবকে দায়ী করেছেন। তাদের ধারনা- উপদেষ্টাকে ভুল বুঝিয়ে এ ধরনের নথিতে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত সকলের শাস্তির দাবী করেছেন এবং ওই আদেশটি বাতিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *