ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি লাখ লাখ টাকা দাবি করেন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

জসীমউদ্দীন ইতি (ঠাকুরগাঁও) : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আর এ নিয়ে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ অনেকেই জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়, মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ২৪ জুলাই। পদ গুলোর বিপরীতে আবেদন করেন ৬৭ জন চাকরি প্রত্যাশী।


বিজ্ঞাপন

চাকরি প্রত্যাশীদের তথ্য মতে, আগামী ৩ আগস্ট বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

অপরদিকে বর্তমান স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইসাহাক আলীকে নির্বাচিত করার বিষয়কে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যার বৈধতা চ্যালেন্স করে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার মামলা নং- ৪৯/২০২৪।

চাকরি প্রত্যাশী মো. রোমান আলী বলেন, আমি অফিস সহায়ক পদে আবেদন করি। আবেদনের পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমার কাছে ২২ লাখ টাকা দারি করেন। এসময় তিনি বলেন টাকা দিলে চাকরি হবে না হলে হবে না।

আরেক চাকরি প্রত্যাশী সাজু বলেন, আমি পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে আবেদন করি। আমার কাছে টাকা চাইলে ১০ লাখ টাকা দিতে চাই। কিন্তু প্রাধান শিক্ষক বলেন ১৫ লাখ টাকা দিলে চাকরি হবে, না দিলে হবে না।

আয়ে পদে আবেদন করেন আমিনা আক্তার। তিনিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আয়া পদে আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি লাখ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অনেকে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরির বিনিময়ে টাকা দাবির অভিযোগ করেন।

অভিভাবক সদস্য সৈয়দ আলী বলেন, তারা দুর্নীতি করে সবার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে। আমি এ জন্য ডিসি, ইউএনওসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। আমি অবিলম্বে এ নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর কোনো সত্যতা নেই।

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ইসাহাক আলী বলেন, লাখ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ম্যানেজিংক কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি সিভিল মামলা চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ আইনজীবীর কাছে মতামত চেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি নিয়োগে কোনো সমস্যা নেই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *