এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের এমডি ডাঃ এহসানুল করিম জগলুল এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল আমিন।
মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের এমডি ডাঃ এহসানুল করিম জগলুল এর ছত্রছায়ায় অত্র কোম্পানিকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে অত্র কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল আমিন। এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ঔষধ প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কোম্পানির সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারনে প্রতিষ্ঠানটির ঔষধ উৎপাদন বাধা গ্ৰস্ত হচ্ছে । যার কারণে সঠিক সময়ে হাসপাতাল গুলোতে ঔষধ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এমনই দুর্নীতিবাজ দুই কর্মকর্তা মনোয়ারুল আমিন ও হান্নান সিকদার। মনোয়ারুল আমিন ২৩/১০/১৯৯৭সালে সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার পদে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোঃ লিঃ এ ঢাকা অফিসে যোগদান করেন।
অফিসের দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৎকালীন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারুল আমিন কে ২৬/১২০১৪ইং তারিখ কোম্পানির সার্ভিস রুলের চ্যাপ্টার ১০এ উল্লিখিত অনুচ্ছেদ ৫১ ধারা অনুযায়ী চাকুরী থেকে টার্মিনেশন করেন।
তৎকালীন ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ শেষ হাওয়ায় বর্তমান ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর মহামান্য উচ্চ আদালতের মিথ্যা রিট পিটিশন নং ১০১৪/১৪ ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে মনোয়ারুল আমিন কে ১২/১/২০১৫ ইং তারিখ কাজে যোগদানের জন্য অনুমতি দেন।
মনোয়াররুল আমিন নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে পুনঃরায় আবার তার দূর্নীতি, টেন্ডার টেম্পারিং, কাচামাল চুরি,ও প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ভঙ্গ শুরু করেন।
বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে ২৮পূর্ব রামপুরা ঢাকা ১০কাঠা যায়গার উপর বিশাল এক অট্রলিকা তৈরি করেন এবং নিজ জেলা ও শশুর এলাকায় নামে বেনামে করেছেন অঢেল সম্পদ।
অভিযোগে উঠেছে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ারুল আমিনের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা টেন্ডার ও টোলের মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্য করছে।যার কারণে অনেক কর্মকর্তা মনোয়ারুল আমিনের দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের কাছে অভিযোগ করে ও কোন প্রতিকার পান না।২০১৭ সালে কাচামাল চুরি ও টেন্ডার টেম্পারিং কারণে মনোয়ারুল আমিনের বিরুদ্ধে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মনোয়ারুল আমিনের নাম উল্লেখ না করে একটি আই ওয়াশ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের সদ ইচ্ছা না থাকায় অদ্যাবধি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নাই। মনোয়ারুল আমিন ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় দুর্নীতি করার কারনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মহামান্য উচ্চ আদালত ৪৭৭কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রুল জারি করেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মনোয়ারুল আমিন ও হান্নান সিকদার সরকারি কর্মকর্তা হয়ে বেআইনি ভাবে নিজ প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোঃ লিঃ এ pharma chemicals ltd নামে কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করতেছে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমিশন হাতিয়ে নিয়েছেন। ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কে বিভিন্ন কর্মকর্তা মনোয়ারুল আমিন ও হান্নান সিকদার এর দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে অবগত করলে তিনি সমস্ত কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেন এবং সেখানে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সময় নির্ধারণ করে দেন।
প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসায়রত সমস্ত কোম্পানি তাদের কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল জমা দিলেও pharma chemicals ltd তাদের কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল জমা দেন নাই এবং মনোয়ারুল আমিন ও হান্নান সিকদার এর দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্ৰহন করেন নাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।