নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালিদের ভাষা শহীদদের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সকাল ৭.০০ টায় কল্যাণপুর গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে ফুলের শুভেচ্ছা এবং ৮.৫০টায় কল্যাণপুর মেইন রোডে শাহী মসজিদের পিছনে মাঠে চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্য ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বৃহত্তর বরিশাল কল্যাণপুর সমিতির উদ্যোগে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর বরিশাল কল্যাণ সমিতির (কল্যাণপুর) সভাপতি কাজী লিয়াকত হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পিএসসি’র সদস্য ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ জলিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কল্যাণপুর গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ বেগম সাহেদা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল মান্নান ও শিখা চক্রবর্তী, বৃহত্তর বরিশাল কল্যাণপুর সমিতির সহসভাপতি এ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক এবাদুল হোসেন।
সিরাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে বরিশালের কৃতি সন্তান উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক করেছেন। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও শহীদদের স্মরণ করার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারীকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন ১৯৫৪ সেই সময়ে শেরেবাংলা পূর্ববাঙালার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পহেলা বৈশাখকে বাঙালিদের কাছে বৎসর গণনা ও বাঙালিদের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি কৃষ্টি ধারণ করার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এবং বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। আসুন আমরা বরিশালবাসী যেভাবে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা দারিদ্র মুক্তি উন্নয়ত পরিবেশের আধুনকি বাংলাদেশ গড়ি। তবেই স্বার্থক হবে ভাষা শহীদদের আত্মদান, স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদান ও প্রায় ৫ লক্ষ মা-বোনে সমভ্রমদানকারীদের সম্মান রক্ষা পাবে। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার জন্য যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি হলেন আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু ও শেরেবাংলা কাছে চিরঋণী।