স্পোর্টস ডেস্ক : মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে ভালো অবস্থানে আছে স্বাগতিকরাই। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে সবক’টি উইকেট হারিয়ে সফরকারী জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। জবাবে ব্যাট করে নেমে অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত’র অর্ধশতকে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান। টাইগাররা এখন পর্যন্ত পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। মুশফিকুর রহিম ৩১ এবং মুমিনুল ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন দুই ওপেনার সাইফ ও তামিম। কিন্তু সাইফের ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নময় হয়নি। অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আটকে যান ১৬ রানেই। এরপর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন সাইফ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানেই ভিক্টর নায়াউচির শিকার হন তিনি।
১৮ রানের মাথায় সাইফ হাসানের উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর জিম্বাবুয়ে বোলারদের বেশ ভালোভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা নেন দুই ব্যাটসম্যান। উইকেটে সেট হয়ে তামিম ফিফটির কাছাকাছিও চলে এসেছিলেন। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে তিরিপানোর বলে চাকাবাকে ক্যাচ তুলে দেন টাইগার ওপেনার। তামিমের ৮৯ বলের ধৈর্যশীল ৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে।
কিন্তু উইকেট আগলে ধরে বসে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা। আর পথিমধ্যে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর আরো মারমুখী হতে থাকে শান্ত। যেখানে অর্ধশতক তুলে নিতে খেলেছিলেন ১০৮ বল সেখানে পরের ৩১ বলে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ২১ রান। আর এর মাশুল দিতে হয়েছে ৭১ রানে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। তামিম ফেরার পর মুমিনুলের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকও কিন্তু এরপর চার্লটন শুমার বলে চাকাবাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দলীয় ১৭২ রানে।
শান্ত ফিরে যাওয়ার পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। এখন মুমিনুল ও মুশফিক জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে মুশফিককে সঙ্গী করে দিন কাটিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬২ রান। মিরপুর শেরে বাংলায় ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মুশফিক এবং মুমিনুল। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল ব্যাট করেছে ৭১ ওভার। আর সফরকারীদের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন চার্লটন শুমা, ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ভিক্টর নায়াউচি।
এর আগে গতকাল শনিবার টস জিতে জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলে দিন শেষ করে। আজ সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে আরো ৩৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের সাবধানে সামলাচ্ছেন চাকাবা ও ত্রিপানো। আগের দিনের কথামত কোনমতে প্রথম সেশন কাটানোর ইচ্ছাই জিম্বাবুয়ের। তবে দিনের ৭ম ওভারে রাহির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ত্রিপানো। ৩১ বল খেলে তার সংগ্রহ ৮ রান।
এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত চার্লটন শুমা। কিন্তু অভিষেক ম্যাচেই তাকে খালি হাতে ফেরান তাইজুল। তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন শুমা।
স্কোরকার্ডে ৪ রান যোগ হতেই টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান এইন্সলে এনডিলোভুকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রাহি। এটি রাহির চতুর্থ শিকার। জিম্বাবুয়ের উইকেটের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তাইজুল। রেগিস চাকাভাকে নাইম হোসেনের তালুবন্দি করে মাঠছাড়া করেন এই স্পিনার।