সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক শুধু নিজের দপ্তরই নয় দাপট দেখিয়েছেন বিচার বিভাগেও 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  ২০১৬ সালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। নিজের দপ্তরে দাপট তো খাটানই, দাপট দেখিয়েছেন বিচার বিভাগেও। নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে আইন ও বিচার বিভাগকে এড়িয়ে তিনি ‘ই-জুডিশিয়ারি পাইলট প্রকল্প’-এর প্রস্তাব করেছিলেন। আদালতে কয়েকটি ক্যামেরা ও অডিও-ভিডিও ধারণ করে ডিজিটাল বিচারব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। যদিও আদালতে ১০০ কোটি টাকার ইলেকট্রিক আর্চওয়ের কাজ কী জানেন না খোদ প্রস্তাবকারী সংস্থাও। পরিকল্পনা কমিশন বারবার বিচারব্যবস্থা উন্নতির জন্য খাতগুলো সংযুক্তির পরামর্শ দিলেও নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পরামর্শগুলো এড়িয়ে শুধু টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে একই প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কমিশনের সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়ায় প্রকল্পটি ঝুলে আছে আট বছর।


বিজ্ঞাপন

আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল করার উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে এড়িয়ে ৩২৭ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বিভিন্ন প্রস্তাবে দফায় দফায় বেড়ে ২ হাজার ৬০০ কোটিতে ঠেকেছে। তাতেও পরিকল্পনা কমিশন আসল কাজ খুঁজে পাচ্ছে না। কমিশনের বক্তব্য মামলাজট কমানোর আবশ্যিক খাত যুক্ত করতে হবে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ে সংশোধনীতে গেলে আর সংশোধন হয় না। আগের প্রকল্প প্রস্তাবই ফেরত পাঠায়। দফায় দফায় টাকার অঙ্ক বাড়ে তবে সংশোধন না হওয়ায় কেটেছে আট বছর। এখন পরিকল্পনা কমিশন বলছে, এটি আগের সরকারের প্রস্তাবিত প্রকল্প। এতে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। বর্তমান সরকার তা নিয়ে কী ভাবছে- মনোভাব বোঝার জন্যই ফের মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রকল্পটি।


বিজ্ঞাপন

উন্নত বিশ্বে মামলা হলে আদালতের রায়ের প্রক্রিয়া যত দ্রুত শেষ করা যায় তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৌড়ঝাঁপ থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমনটি হয় না। এজন্য এ প্রকল্পে পেপার হেয়ারিং রাখার পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এর পাশাপাশি কেউ প্রাথমিকভাবে মামলা করতে গেলে সাক্ষীর বক্তব্য অডিও-ভিডিও রেকর্ড, মামলার তদন্ত অনলাইনে রেকর্ড ও সব বিষয় অনলাইনে রেকর্ড রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার সেটিও এড়িয়ে যাচ্ছে আইন ও বিচার বিভাগ।

প্রকল্পের পটভূমি কী ছিল ? ২০১৬ সালের ১২ জুলাই আইসিটি বিভাগ প্রথমে ‘ই-জুডিশিয়ারি পাইলট প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ৩২৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দেশের নির্বাচিত কয়েকটি জেলায় বাস্তবায়নের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করে। ওই সভায় উদ্যোগী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ হিসেবে আইন ও বিচার বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে যৌথভাবে উপস্থাপন করে প্রকল্প প্রস্তাবের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আইন, বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কারিগরি সহায়তায় ‘ই-জুডিশিয়ারি পাইলট প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাবটি ২ হাজার ২১০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য কমিশনে পাঠানো হয়।

ওই ডিপিপির ওপর ২০১৮ সালের নভেম্বরে আবার পিইসি হয়। কিছু সিদ্ধান্তের পর প্রকল্পটি পিইসি সভা অনুষ্ঠানের ২ বছর পরে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে ২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তী সময়ে কয়েক ধাপের পিইসি সভার পর সেটিকে ২ হাজার ৬২৫ কোটিতে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়। ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের প্রভাবে অনুমোদন করাতে চেয়েছিলেন পলক। এটি অনুমোদন পেলে তার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতেন। এতে মূলত বিচার বিভাগের কোনো উন্নতি হতো না। শুধু টাকাই খরচ হতো।

প্রকল্পটির প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ২৩ সেপ্টেম্বর। সেটিও স্থগিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রকল্পটি যেহেতু আগের সরকারের প্রস্তাবিত, বর্তমান সরকার এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেবে কি না সেজন্য আরও কিছু সংশোধনী দিয়ে মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কমিশনের বক্তব্য, বর্তমানে বাংলাদেশে সশরীরে উপস্থিত থেকে বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষকে মামলা দায়ের করতে হয়, সাক্ষী উপস্থাপন করতে হয়। পাশ্চাত্যের উন্নত দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমের সঙ্গে মিল রেখে অনলাইন বিচারব্যবস্থায় পেপার হেয়ারিং ব্যবস্থা চালু হলে মামলা নিষ্পত্তি দ্রুত হবে এবং মামলার জট কমবে। পেপার হেয়ারিং সিস্টেম চালু না হলে ই-জুডিশিয়াল সিস্টেম দিয়ে বিচারব্যবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না এবং মামলার জটও কমবে না। পেপার হেয়ারিং সিস্টেম চালু করতে কী ধরনের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে এবং আইনি কাঠামোর কী ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার হবে সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আরও কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে প্রকল্পটিতে। বিশেষ করে, প্রাথমিক পর্যায়ে থানায় মামলা গ্রহণের সময় সাক্ষীর শুনানি রেকর্ড করা, মামলার তদন্ত রেকর্ড করা, মামলার সব বিষয় অনলাইনে সাবমিট করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ  গণমাধ্যম কে  বলেন, পেপার হেয়ারিংয়ের বিষয়টি উন্নত বিশে^র জন্য প্রযোজ্য, কিন্তু এটি আমাদের দেশে এখনই বাস্তবায়নযোগ্য না। কারণ এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ট্রেইনড না। আমরা এটার জন্য প্রস্তুত না।

ই-কোর্ট রুমের সম্পূর্ণ বিচারিক কার্যক্রম সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিচারিক কার্যক্রমে বাদী-বিবাদীর বক্তব্য, জেরা তাদের ছবির প্রাইভেসি রাখার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা ও অডিও-ভিডিও অন্তরায় হতে পারে বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রাইভেসি বিবেচনা করে ই-কোর্ট রুমে সিসি ক্যামেরা, অডিও-ভিডিও রাখা যাবে কি না সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে বলা হয়েছে।

ই-কোর্ট রুম প্রসঙ্গে মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের বাইরে ক্যামেরা বসানো যেতে পারে। কিন্তু আদালতের ভেতরে বসানো হলে সেটি সংশ্লিষ্টদের প্রাইভেসি নষ্ট করবে। আর এর জন্য প্রকল্প নেওয়ার কোনো প্রয়োজনও নেই।

প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৫৫ দশমিক ৬৭ শতাংশই ব্যয় হবে ই-কোর্ট রুম বাস্তবায়নে। পরিকল্পনা কমিশনের কয়েক দফা পরামর্শের পর ই-কোর্ট রুমে প্রথমে ৯৩৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ হয়। পর্যালোচনার সভার সিদ্ধান্তের পর পুনর্গঠিত ডিপিপিতে এ খাতে ব্যয় ৫২৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, নানাভাবে পরামর্শের পরও ই-কোর্ট রুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিগুলোর কারিগরি বিনির্দেশ এখানে সংযুক্ত করা হয়নি। পর্যালোচনার সভার সিদ্ধান্তও তারা মানেনি।

তাছাড়া এত বড় একটি প্রকল্পে সফটওয়্যার স্থাপন করা হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে তা নিয়েও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই ডিপিপিতে। পরিকল্পনা কমিশন বারবার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জুডিশিয়াল রিসোর্স প্ল্যানিং সফটওয়্যারের আওতায় পৃথক পৃথক সফটওয়্যার পরিধি, বিষয়বস্তু এবং সিকিউরিটি সিস্টেম উল্লেখ করে বিবরণ পুনর্গঠিত ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। সেটি এখনো স্পষ্ট করেনি প্রস্তাবকারী সংস্থা।

ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ আইটেম হচ্ছে জুডিশিয়াল রিসোর্স প্ল্যানিং সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যারসমূহের মাধ্যমে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারিগরি টিম গঠন করে সফটওয়্যারসমূহের পরিধি, বিষয়বস্তু নির্ধারণ করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সে বিষয়েও ডিপিপিতে কোনো নির্দেশনা নেই।

জেলা পর্যায়ে আদালতগুলোতে মাইক্রো ডাটা সেন্টারের ল্যান স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত ছিল ১৭৮ কোটি টাকা। পরবর্তী পুনর্গঠিত ডিপিপিতে এ খাতে ব্যয় আরও ১০০ কোটি বাড়িয়ে ২৭৮ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খাতের ব্যয় মোট প্রকল্প ব্যয়ের ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

প্রকল্পটিতে বারবারই শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন থেকে ব্যয় প্রাক্কলন সরাসরি গ্রহণ না করে নন-সিডিউলভুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত কারিগরি টিমের মাধ্যমে মূলধন খাতের সব ব্যয় প্রাক্কলন পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নন-সিডিউলভুক্ত আইটেমের ক্ষেত্রে ব্যয় প্রাক্কলন কমিটির মাধ্যমে প্রাক্কলন করা হয়নি। মূলধন ও রাজস্ব খাতের কিছু খাতের ক্ষেত্রে ব্যয় বিভাজন দেওয়া হয়নি।

শুভঙ্করের ফাঁকি আরও আছে, সেমিনারের ব্যয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ধরা হয়নি। অডিও ভিডিও নির্মাণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যয় প্রাক্কলন না করে নিজেদের মনগড়া ব্যয় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অডিও ভিডিও নির্মাণ এক জায়গায় মিনিটে ২০ হাজার টাকা, অন্য জায়গায় সেকেন্ডে ২০ হাজার টাকা বলা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে এটি অসংগতিপূর্ণ। অফিস ভাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রস্তাব করার বিষয়টিও কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।

ইলেকট্রিক আর্চওয়ে, এক্সরে ব্যাগেজ স্কান্যার, নিরাপত্তা খাতে ১০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ যন্ত্রপাতিগুলোর কারিগরি বৈশিষ্ট্য ডিপিপিতে স্পষ্ট করা হয়নি। পরিকল্পনা কমিশন স্পষ্টভাবে বলছে এ খাতটি ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ খাতটি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

পরিকল্পনা কমিশনের মূল বক্তব্য হচ্ছে এ প্রকল্পটির মাধ্যমে যাতে আন্তর্জাতিক মানের বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রকল্পে বারবার সেটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

নতুন করে প্রকল্পে আরেকটি পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ই-জুডিশিয়াল সিস্টেমের সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংযুক্ত করে বিচারকার্যকে আরও গতিশীল ও নিখুঁত করা যায়। কিন্তু প্রস্তাবিত প্রকল্পে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার বিষয়ে কোনো খাত নেই। জুডিশিয়াল সিস্টেমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পৃক্তকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পে পুরাতন নথি ডিজিটাল আর্কাইভ করার জন্য ২৫০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের বক্তব্য, এটি অনেক বড় কাজ এবং অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে। বাস্তবে স্ক্যান কপি করে ডাটা এন্ট্রি করলে ই-জুডিশিয়াল সিস্টেমে তা ব্যবহার উপযোগী হবে না। সফটওয়্যার উপযোগী ব্যবহার করার জন্য ম্যানুয়াল ডাটা এন্ট্রি দিতে হবে যা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। এ কারণে সব পুরাতন নথি এখনই ডিজিটাল আর্কাইভ না করে, ই-জুডিশিয়াল সিস্টেম চালুর পর ই-কোর্টে দায়েরকৃত মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্কাইভের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সোলেমান খান  গণমাধ্যম কে   বলেন, প্রকল্পটি পিইসি সভা স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু এটি আগের সরকারের প্রস্তাবিত প্রকল্প, বর্তমান সরকার এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেবে কিনা সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেহেতু সরকারে সিদ্ধান্ত বিদেশি ঋণের প্রকল্প বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া, এটি দেশীয় অর্থায়নের প্রকল্প তাই আপাতত কিছু পরামর্শ দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *