!! গত ২রা মে,২০২৩ইং এস আলমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের দখলদার বাহিনীর অন্যতম বিশ্বস্থ সদস্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হয়ে আসলে এই ডিপোজিট সংগ্রহ নতুন করে গতি পায়।ডিপোজিট এর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এস আলমের প্রতিনিধিত্ব করত এস আলমের প্রভাবশালী পিএস আকিজ উদ্দিন। বন্দরের পক্ষে তার সাথে অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করলেও ডিপোজিট সংগ্রহের মূল হোতা হিসেবে ভূমিকা রাখে সদস্য(অর্থ) মোঃ শহীদুল আলম, উপ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মেরাজ উদ্দিন আরিফ, সিনিয়র একাউন্টস অফিসার মোঃ হেলাল এবং নগদ ও ব্যাংকিং শাখার হিসাবরক্ষক মোঃ হানিফ।এরা সবাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর।আর চেয়ারম্যান দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন আপডেট দেয় চেয়ারম্যান এর পিএ নাহিদ মোস্তফা।তিনিও ভালো অংকের কমিশন ভাগে পান। এই সিন্ডিকেট শুধু বন্দরের টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট রেখেই হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক।গত ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুদক,হেড অফিসের একটি টিম এই বিষয়ে তাদের সতর্ক করে গেলেও তারা তা তোয়াক্কা করেন নি । বিভিন্ন ব্যাংকের ম্যানেজার অভিযোগ করেন, এস আলমের ব্যংক ব্যতীত অন্যান্য ব্যাংকের ভালো রেটের অফার আসলে তা কৌশলে সরিয়ে রাখেন মোঃ হেলাল,আনোয়ার হোসেন ও মোঃ হানিফ,যাতে করে সেসব ব্যাংকে ডিপোজিট না রাখা হয়।কোন মতে ম্যানেজ করতে পারলেও তাদের গুণতে বড় অংকের কমিশন। সরকারের সাথে এস আলমের বেশি সখ্যতা থাকায় এতোদিন তারা চুপ করে ছিলেন। গত ২৭ আগস্ট এস আলম মালিকানাধীন বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপককে বন্দর ভবন ডেকে দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলে তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে।মূলত তাদের এই মূহুর্তে এই টাকা ফেরত দেয়ার মত সামর্থ্য নেই। এদিকে ব্যবস্থাপকদের এমন ধমকে ভয়ে দুঃচিন্তায় অসুস্থ হয়ে ২৮-২৯ তারিখ অফিস করেননি নগদ ও ব্যাংকিং শাখার হিসাবক হানিফ। সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় আছে জমি,বাড়ি, ফ্ল্যাট,ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বিপুল সম্পত্তি। এই চক্র একদিনে গড়ে উঠেনি। প্রাক্তণ প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ২০১১ সাল থেকে দীর্ঘদিন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে (সর্বজেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তদকালীন মন্ত্রী শাহজাহান খানের মাধ্যমে পায়রা বন্দরে বদলী করে) এই চেয়ারে বসে এসব কমিশন বাণিজ্য করে হয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তার এই অর্থ আমেরিকা ও মালেশিয়ায় মেয়েদের মাধ্যমে পাচার করেছেন। পরবর্তীতে তার উত্তরসূরী মোঃ রফিকুল আলম, মোঃ আবদুল হামিদ, সন্দীপন চৌধুরী, মোঃ শাহাদাত হোসেন সকলে হাজার কোটি টাকা আয় না করলেও গড়েছেন শত কোটি টাকা। তারা সিন্ডিকেট করে শহরের হালিশহরসহ বিভিন্ন জায়গায় করছেন বিলাসবহুল বাড়ী। তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও কল্পলোক ও অন্যান্য আবাসিক এলাকায় রয়েছে প্লট!!
বিশেষ প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এই ব্যস্ততম বন্দর স্বায়ত্বশাসিত বলে সরকারের কোন অর্থ সহায়তা লাগে না। নিজেদের অর্থ সংস্থানে বেশ সাচ্ছন্দে চলে এই প্রতিষ্ঠান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে সরকারকে এখন প্রতি বছর ৩৫০০ কোটি প্রদান করে থাকে। এরপরেও বাকী উদ্বৃত্ত সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখে। বেশিরভাগ অর্থ সরকারি ব্যাংকে রাখার নিয়ম থাকলেও অর্থ ও হিসাব বিভাগের একটি সিন্ডিকেট বেসরকারি ব্যাংকে রাখতেই বেশি আগ্রহী।কারণ এর বিপরীতে তারা মোটা অংকের কমিশন পেয়ে থাকেন।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যাংকে মোট এফডিআর এর পরিমাণ প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এস আলমের মালিকানাধীন ৪টি ব্যাংকেই(ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশাল ইসলামী ব্যাংক) আছে প্রায় হাজার কোটি টাকা!!
যা এখন বন্দর ফেরত পাবে কি পাবে না সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এই অর্থ না পেলে চট্টগ্রাম বন্দর বড় ধরণের ক্ষতির সম্মূখীন হবে। এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংককে কুক্ষিগত করে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো সুদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বন্দর থেকে হাজার কোটি টাকা এফডিআর সংগ্রহ করেছে।এরই মধ্যে
গত ২রা মে,২০২৩ইং এস আলমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের দখলদার বাহিনীর অন্যতম বিশ্বস্থ সদস্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হয়ে আসলে এই ডিপোজিট সংগ্রহ নতুন করে গতি পায়।ডিপোজিট এর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এস আলমের প্রতিনিধিত্ব করত এস আলমের প্রভাবশালী পিএস আকিজ উদ্দিন। বন্দরের পক্ষে তার সাথে অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করলেও ডিপোজিট সংগ্রহের মূল হোতা হিসেবে ভূমিকা রাখে সদস্য(অর্থ) মোঃ শহীদুল আলম, উপ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মেরাজ উদ্দিন আরিফ, সিনিয়র একাউন্টস অফিসার মোঃ হেলাল এবং নগদ ও ব্যাংকিং শাখার হিসাবরক্ষক মোঃ হানিফ।এরা সবাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর।আর চেয়ারম্যান দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন আপডেট দেয় চেয়ারম্যান এর পিএ নাহিদ মোস্তফা।তিনিও ভালো অংকের কমিশন ভাগে পান। এই সিন্ডিকেট শুধু বন্দরের টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট রেখেই হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক।গত ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুদক,হেড অফিসের একটি টিম এই বিষয়ে তাদের সতর্ক করে গেলেও তারা তা তোয়াক্কা করেন নি । বিভিন্ন ব্যাংকের ম্যানেজার অভিযোগ করেন, এস আলমের ব্যংক ব্যতীত অন্যান্য ব্যাংকের ভালো রেটের অফার আসলে তা কৌশলে সরিয়ে রাখেন মোঃ হেলাল,আনোয়ার হোসেন ও মোঃ হানিফ,যাতে করে সেসব ব্যাংকে ডিপোজিট না রাখা হয়।কোন মতে ম্যানেজ করতে পারলেও তাদের গুণতে বড় অংকের কমিশন। সরকারের সাথে এস আলমের বেশি সখ্যতা থাকায় এতোদিন তারা চুপ করে ছিলেন। গত ২৭ আগস্ট এস আলম মালিকানাধীন বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপককে বন্দর ভবন ডেকে দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিলে তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে।মূলত তাদের এই মূহুর্তে এই টাকা ফেরত দেয়ার মত সামর্থ্য নেই। এদিকে ব্যবস্থাপকদের এমন ধমকে ভয়ে দুঃচিন্তায় অসুস্থ হয়ে ২৮-২৯ তারিখ অফিস করেননি নগদ ও ব্যাংকিং শাখার হিসাবক হানিফ।
সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় আছে জমি,বাড়ি, ফ্ল্যাট,ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বিপুল সম্পত্তি। এই চক্র একদিনে গড়ে উঠেনি। প্রাক্তণ প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ২০১১ সাল থেকে দীর্ঘদিন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে (সর্বজেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তদকালীন মন্ত্রী শাহজাহান খানের মাধ্যমে পায়রা বন্দরে বদলী করে) এই চেয়ারে বসে এসব কমিশন বাণিজ্য করে হয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তার এই অর্থ আমেরিকা ও মালেশিয়ায় মেয়েদের মাধ্যমে পাচার করেছেন। পরবর্তীতে তার উত্তরসূরী মোঃ রফিকুল আলম, মোঃ আবদুল হামিদ, সন্দীপন চৌধুরী, মোঃ শাহাদাত হোসেন সকলে হাজার কোটি টাকা আয় না করলেও গড়েছেন শত কোটি টাকা। তারা সিন্ডিকেট করে শহরের হালিশহরসহ বিভিন্ন জায়গায় করছেন বিলাসবহুল বাড়ী। তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এছাড়াও কল্পলোক ও অন্যান্য আবাসিক এলাকায় রয়েছে প্লট
গত ৬ জুন আব্দুস শাকুর প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে তার মতের অমিল হয় বলে দীর্ঘ ১২/১৩ বছর তাকে সিনিয়র অডিট অফিসার পদে একঘরে করে রাখা হয়।
বর্তমানে কর্মরত কাজী মেরাজ উদ্দিন আরিফ সিনিয়র একাউন্টস অফিসার হলেও তিনি উপ প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব ও একই সাথে চীফ অডিট অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। যেটা সরকারি নিয়মের স্পষ্ট ব্যত্যয়।
এ পর্যন্ত তার ক্ষেত্রেই এমনটি হয়েছে, যা আগে কখনওই হয়নি। তিনি অর্থ ও হিসাব বিভাগের মাফিয়া বলে পরিচিত। আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে তিনি ঘুষ ও দুর্নীতি করে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন। শুধু নিজ বিভাগের কাজের মাধ্যমে নন, দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সমিতির কোষাধ্যক্ষ পদে থেকে সিজেকেএস-এ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের নামে লুট করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বন্দর স্টেডিয়ামে মেরাজের অপারেটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন সুলতান মাহমুদ খান (শাহীন)।
শাহীন মূলত যান্ত্রিক বিভাগের সিনিয়র অপারেটর হলেও তিনি কর্মস্থলে না থেকেও মাস শেষে ওভারটাইম গুণে নেন।তিনি সারাদিন কাটান বন্দর স্টেডিয়ামে। অবৈধভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরিকে বন্দর স্টেডিয়ামে ৫০/৬০ জন ছেলেকে ফুটবল কোচিং করান। সিজেকেএস এ নিয়েছেন কাউন্সিলরশীপ।
এই সুবাধে আ জ ম নাছির উদ্দিনের কাছের মানুষ হয়ে সিজেকেএস এর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণে বন্দরকে বাধ্য করান।তার কাছে বন্দর কর্তৃপক্ষও যেন অসহায়। তার লুটপাটের কারণে এখন বন্দরের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কার্যক্রমও বন্ধ আছে। তিনি বন্দর স্টেদীয়ামের অলিখিত মাফিয়া ডন। মোঃ হেলাল টাকা ছাড়া ডিপোজিট তো দূরের কথা, কোন চেক সই করেন না।মাত্র ৫ বছরেই আনোয়ারায় গড়েছেন বাড়ী।
ঠিকাদারের প্রতি ফাইলে গুণে নেন মোটা অংকের টাকা ।আনোয়ার হোসেন ইসলামের বেশ ধরে দুর্নীতি করে শহরে প্লট, ফ্ল্যাট ও বিপুল অর্থের মালিক। আর হিসাবক মোঃ হানিফ বিভিন্ন কর্মকর্তার ঘুষের অর্থের এজেন্ড হিসেবে কাজ করে নিজেও কোটি কোটি টাকার মালিক। গত ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে আওয়ামী সরকারের পতনের পরে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের হাওয়া লাগলেও চট্টগ্রাম বন্দরে এখনও সমানে দুর্নীতি চলছে। এখানে এখনও চলছে দুর্নীতির মহোৎসব।
এই সকল অভিযোগের ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে তাদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা মোবাইল রিসিভ না করায় তাদের কারোরই কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।