মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার উলপুরে যথাযথভাবে ভুমি অধিগ্রহণ না করে এবং ন্যায্য ক্ষতিপুরন না দিয়ে গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে একটি মহাসড়ক নির্মাণ করতে চাইছে। এতে একজন এতিম নাবালিকা তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে। ওই নাবালিকার নাম আলিভা তাসনিম জেমিমা। সে উলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম এম.মাসুদ আলী স্বপনের একমাত্র মেয়ে।
আলিভা তাসনিম জেমিমার মা বনি আসমাউল হুসনা জানান, তার স্বামী জীবিত থাকাকালে উলপুর মৌজাধীন সংশ্লিষ্ট বিআরএস দাগে মোট ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে আমার একমাত্র মেয়ের নামে ১৩ শতাংশের বেশি জমি মিউটেশান হয়েছে।
এরপরেও গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ আমার নাবালিকা মেয়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে মহাসড়ক নির্মাণ করতে চাইছে। আমার মেয়ের জমি সংক্রান্ত সকল কাগজাদি বৈধ।
প্রায়ই সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী,উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী,সার্ভেয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের লোকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য।
জমি ছেড়ে না দিলে আমাকে তারা দেখিয়ে দেবেন বলে বারবার হুমকি দিচ্ছেন। তারা আমাকে এবং পরিবারের সদস্যদের পুলিশ,যৌথবাহিনী দিয়ে ধরিয়ে দেবেন এবং নির্যাতনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমি আমার মেয়ের নামে জমির কাগজাদি গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের দেখিয়েছি। তারা সেসব কাগজাদি মানেননা।
তারা বলেন এসব কাগজাদির কোনো মূল্য নাই। আমার মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় আমি আদালত কর্তৃক মনোনিত বৈধ অভিভাবক। এমতাবস্থায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজাদি বৈধ হলে তিনি ক্ষতিপুরন পাবেন। তবে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট মহাসড়ক নির্মাণ কল্পে ভুমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপুরন দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমার কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা সংশ্লিট জমির মালিককে হুমকি দিচ্ছে বলে আমার জানা নেই। আমি জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছি। তাকে হুমকি দেইনি বা ভীতি প্রদর্শন করিনি।
এদিকে ভুক্তভোগী বনি আসমাউল হুসনা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ কর্তৃক মহাসড়ক নির্মাণে তার নাবালিকা মেয়ের মালিকনাধীন জমির ক্ষতিপুরন পেতে সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।