নিজস্ব প্রতিবেদক : শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর মৌসুম। প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত সঙ্গে নিয়ে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। বুধবার ভোর থেকেই কোথাও কোথাও বৃষ্টির ছিটেফোঁটারও দেখা মিলেছে।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই বৃষ্টিবলয় দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। তার ভেতরেই যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বছরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে মার্চ মাসেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। তার সঙ্গে একই সময়ে হবে প্রবল বজ্রঝড়।
চলতি ফেব্রুয়ারির বাকি ক’দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। এ সময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুইদিন বজ্রঝড় হতে পারে।
পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, বুধবার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেইসঙ্গে ভোরে নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা বিরাজ করেছে। এছাড়া দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। শীতের বিদায়ের পর ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে যে ঝড় বয়ে যায় তা-ই কালবৈশাখী। বাংলা বর্ষের শুরুতে বৈশাখ মাসে এ ঝড় তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বলেই এটি কালবৈশাখী নামে পরিচিতি লাভ করেছে।