রাকিবুল আওয়াল পাপুল, (শেরপুর) : অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে জানমালের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট পাঠানো হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি ও ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

আশা করা যায়, বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। তবে, কিছু জিনিস আশু আর কিছু জিনিস ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।এমন বন্যার স্থায়ী সমাধান আমরাও চাই। শেরপুরে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য আমি সরেজমিনে এখানে এসেছি।
তিনি আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

এদিন ত্রাণ উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পরে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫০ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে দুই বান্ডিল করে টিন এবং ছয় হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
এ সময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা।