রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন।
দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায়। ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন।
গত ১৯ আগষ্ট ২৪ যোগদানের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশের ন্যায় দুর্গাপুরে কিছু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাতে পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। প্রায় প্রতি দিন ছাত্ররা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে অবস্থান নিত ( ইউএনও) সাবরিনা শারমিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরজমিনে এসে সরাসরি কথা বলতেন তাদের অভিযোগগুলো শুনতেন এবং লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ প্রদান করতেন। এভাবে তিনি প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধানের জন্য সকলকে ডেকে আলোচনায় বসতেন। প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। উপজেলা জুড়ে সরকারি অনেক খাসপুকুর নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় । তিনি উভয় পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করেন।
লীজ গ্রহীতার আগ্রহ থাকলে তাকে তার মেয়াদ পর্যন্ত পুকুর দখল নিশ্চিত করে দিয়েছেন।পুকুর সংক্রান্ত কোনো চাঁদাবাজি অভিযোগ পেলে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলা জুড়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির নিকট হইতে চাঁদাবাজি রোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেন। উপজেলা জুড়ে যেকোনো স্থানে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট , সরকারি বৃক্ষ কর্তন হলেই সরোজিনী গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরকারি সহায়তার খাদ্য, টিসিবি পণ্য বিতরণ, দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের চাউল বিতরণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন তিনি । দুর্গাপুরের জনসাধারণ যেকোনো সমস্যায় ভোগান্তি ছাড়াই তার নিকট উপস্থাপন করতে পারেন তার কাছে আসতে কোন অনুমতি প্রয়োজন হয় না।
ইউএনও সাবরিনা শারমিন তদবির, চাপ উপেক্ষা করে সততা নিষ্ঠার মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সকল স্তরে জনগণ আর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জনাব প্রফেসর জোবায়েদ হোসেন কথা বললে তিনি জানান, ইউএনও মহোদয় একটা বেসামাল পরিস্থিতিতে যোগদান করেও তিনি সততা এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সমগ্র সেক্টরে স্বাভাবিক অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছেন এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এবং আমার দল তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি, ভবিষ্যতেও করব ইনশাআল্লাহ ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনার শারমিন জানান, দুর্গাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করছি।