নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ ও ভাগ্যের বিনিময়ে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে জুয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাবগুলোর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে রাজধানীর অভিজাত ক্লাবগুলোতে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রবেশ, অভিযান ও কোন সরঞ্জাম জব্দ করতে পারবে না।
আদালতে ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিনস্টার এম আমির উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অন্যান্য ক্লাবগুলো হলো-গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দ-নীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছিল ঢাকা ও গুলশান ক্লাব।