যশোর প্রতিনিধি : লম্পট স্বামী নাজমুল নিজের স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি অতঃপর পিবিআই যশোরের প্রচেষ্টায় ভিকটিম কে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছেন। বুধবার সকালে ভিকটিম কে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন সিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।
মো: নাজমুল হোসেন (৩৫), পিতা : শাহাজাহান সরদার, সাং : বনগ্রাম, থানা : অভয়নগর, জেলা : যশোরের সাথে অনুমান ৭/৮ বছর পূর্বে ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিন(৩০), পিতা : মশিয়ার রহমান, সাং : আদমপুর, থানা : বাঘারপাড়া, জেলা : যশোরের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের মো: সৌরভ হোসেন নামে একজন পুত্র সন্তান আছে।
অনুমান ০৩ (তিন) বছর পূর্বে ভিকটিমের স্বামী মো: নাজমুল হোসেন ভিকটিমকে জানায়, ভারতে গেলে দুজনে উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়া যাবে।
সেখানে যাওয়ার জন্য ভিকটিমকে উদ্ভুদ্ধ করে। ভিকটিম স্বামীর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করত: ভারতে যেতে রাজি হয়। সে মতে ভিকটিমকে তার স্বামী অত্র মামলার আসামি মো: নাজমুল হোসেন ভারতের মুম্বাই শহরে নিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে মানব পাচার মামলা নং-০৭/২০২৪, তারিখ- ১০/০৩/২০২৪ ইং, ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/১১ ধারা রুজু করেন।
পরবর্তীতে আদালত পিবিআই যশোরকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করলে পিবিআই প্রধান মোঃ মোস্তফা কামাল, অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িত্বে), বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নি:) মোঃ হাবিবুর রহমান ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
পিবিআই যশোরের সার্বিক প্রচেষ্টায় মানব পাচার নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিন (৩০) কে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। ভিকটিমকে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করার নিমিত্তে অদ্য ১৩/১০/২০২৪ তারিখে আদালতে উপস্থাপন করা হলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেন।