গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  :  গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার ১১৫ নং বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষিকা স্মৃতি রানী বিশ্বাস গত এক বছর যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও প্রতি মাসের বেতন উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে দেখা যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক  হাজিরা খাতায় স্মৃতি রানী বিশ্বাসের গত এক বছরের স্বাক্ষর নাই।


বিজ্ঞাপন

শিক্ষিকার অনুপস্থিতির কারনে ওই স্কুলের  প্রাক প্রাথমিকের কোনো ক্লাস নিয়মিত হয়না বলে শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত ক্লাসে আসেনা। প্রাক প্রাথমিকের জন্য নির্দিষ্ট একটি সাজানো-গোছানো কক্ষ থাকার কথা থাকলেও বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা নেই। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতা রানী মধু জানান স্মৃতি রানী বিশ্বাস ডেপুটেশনে কোটালিপাড়া উপজেলার ৩নং পূর্ব বাগান উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মমতা রানী মধু প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষিকা স্মৃতি রানী বিশ্বাসের ডেপুটেশন সংক্রান্ত  কোনো অফিস আদেশ দেখাতে পারেননি।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে স্মৃতি রানী বিশ্বাসের শ্বশুর বাড়ি বাগান উত্তর পাড়া গ্রামে বলে কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে ১১৫ নং বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন না করে ৩নং পূর্ব বাগান উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলেও শোনা গেছে। স্মৃতি রানী বিশ্বাস স্বীকার করেছেন যে তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের নির্দেশে ৩নং পূর্ব বাগান উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন গত এক বছর যাবত।  বরইভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতা রানী মধু বলেন,আমি উপজেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছি।

কোটালিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন এ বিষয়ে জানান স্মৃতি রানী বিশ্বাসের বাড়ী দূরে বিধায় আমি তাকে সহায়তা করেছি মাত্র।  এতে আমি কোনো প্রকার আর্থিক লাভবান হইনি। অফিস আদেশ ছাড়া এমন নির্দেশনা দেয়া সরকারি বিধিমালার পরিপন্থী। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন বরইভিটা স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *